সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে এই মুহূর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি নেই। সীমান্ত আপাত শান্ত। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ৬ রাজ্যে আয়োজিত হতে চলা অসামরিক সুরক্ষা মহড়া স্থগিত করে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজস্থান, গুজরাট, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও জম্মু-কাশ্মীরে সিভিল ডিফেন্স মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল, অপারেশন শিল্ড। সেটা আপাতত স্থগিত করা হল।
ভারত-পাক সংঘাতের আবহে গত ৭ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দেশের ২৭ টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৪৪টি জায়গায় মক ড্রিলের নির্দেশিকা জারি করেছিল অমিত শাহের মন্ত্রক। কিন্তু ৬ মে রাতেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। তারপর পাকিস্তানের সঙ্গে দিন চারেক প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। সেসময়ই ঠিক করা হয়েছিল ২৯ মে ফের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে মক ড্রিল হবে। যদিও পরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু বুধবার রাতে সবকটি রাজ্যের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘প্রশাসনিক’ কারণে ওই মক ড্রিল আপাতত ‘স্থগিত’ করা হচ্ছে। আচমকা ওই প্রশাসনিক কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কেন ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তাহলে কি এই মুহূর্তে মক ড্রিলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না সরকার? যদিও পাঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, সে রাজ্যে আগামী ৩ জুনই ওই মক ড্রিলের আয়োজন করা হবে। বাকি রাজ্যে কবে হবে মহড়া, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
শেষবারের মক ড্রিলে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একাধিক সর্তকতামূলক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ বিমান হামলার সাইরেন বাজালে কী করা উচিত? যুদ্ধকালীন পরিস্তিতে ব্ল্যাকআউট হলে কী করতে হবে? আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব এসব বিষয়ে সাধারণ নাগরিক এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর প্রথমবার যুদ্ধের মহড়া দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.