সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নগদকাণ্ডে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই। শীর্ষ আদালতের গড়ে দেওয়া তিন সদস্যের কমিটির রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। সেই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি, এই মামলার বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
শীর্ষ আদালতের কমিটির রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেই মামলা দায়ের করেছিলেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। বুধবার আদালতে এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন বিচারপতি বর্মার পক্ষের আইনজীবী কপিল সিবাল। এর প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমি এই মামলাটি শুনতে পারব না। কারণ আমি ওই কমিটির অংশ ছিলাম। আমরা মামলাটি তালিকাভুক্ত করব এবং শুনানির জন্য অন্য বেঞ্চ গঠন করা হবে।” আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল প্রধান বিচারপতি গাভাই, বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে। তবে শুরুতেই সেই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই আগুন নেভাতে গিয়ে বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ পোড়া নোট। ঘটনার পর বিচারপতি বর্মাকে বদলি করা হয় এলাহাবাদ হাই কোর্টে। নগদ উদ্ধার কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস কমিটির তদন্ত শুরু করে। গত ৩ মে ওই অনুসন্ধান কমিটি একটি মুখবন্ধ রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টে। দাবি করা হয়, বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ পেয়েছে ওই তদন্ত কমিটি। সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই ওই তদন্ত কমিটি বিচারপতি বর্মার অপসারণের সুপারিশ করেছে বলে সূত্রের খবর। এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন বিচারপতি বর্মা। যার শুনানিতে নিজেকে সরিয়ে নতুন কমিটি গড়া হবে বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে অপসারণের সুপারিশ পাওয়ার পর বিচারপতি বর্মার অপসারণে সচেষ্ট কেন্দ্র। লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেই যাতে সম্মিলিতভাবে বিচারপতি বর্মার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করানো যায় সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে কেন্দ্র। তবে অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিচারপতি পদে আসীন থাকবেন। তাছাড়া অপসারণ প্রক্রিয়া রুখতে বিচারপতি বর্মা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাই যতদিন তিনি অপসারিত না হচ্ছেন, ততদিন তাঁর সম্মান প্রাপ্য। তাঁকে বিচারপতি হিসাবেই সম্বোধন করতে হবে। সেটাই বুঝিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.