সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশংসার ছলেও যেন ভর্ৎসনা, আবার ঘুরিয়ে কটাক্ষও বলা যেতে পারে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সিবিআই সম্পর্কে যা বললেন, তা নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিতে বাধ্য। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘‘একগুচ্ছ হাই-প্রোফাইল ও রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর মামলায় সিবিআই আদালতের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।’’
মঙ্গলবার ডি পি কোহলি মেমোরিয়াল লেকচার শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটা সত্যি যে কিছু হাই-প্রোফাইল এবং কিছু রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর মামলায় সিবিআই আদালতের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এবং এটাও সত্যি, যে এই ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে না।” প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আমি মাঝে মাঝে নিজেকেই প্রশ্ন করি কেন এমন হয়? কেন যেসব মামলায় কোনও রাজনৈতিক যোগ থাকে না সেসব মামলার এত দ্রুত সমাধান করে ফেলে সিবিআই?” এর জন্য অবশ্য শুধু সিবিআইকে দোষারোপ করেননি প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, এটা সিস্টেমের সমস্যা। প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাঠামো, কর্মসংস্কৃতিতে সমস্যা রয়েছে। রঞ্জন গগৈ আরও জানিয়েছেন, অফিসার পদে ১৫ শতাংশ, আইনি অফিসার পদে প্রায় ২৮ শতাংশ এবং প্রযুক্তি দপ্তরে ৫৬ শতাংশের বেশি পদ খালি পড়ে রয়েছে। এতে কাজের চাপ বাড়ে। দক্ষতা কমে যায়।
CJI Gogoi at 18th DP Kohli Memorial Lecture in Delhi yesterday: I ask myself a question, why is that whenever there are no political overtones to a case, the CBI does a good job?
— ANI (@ANI)
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের তোতাপাখির মতো করে ব্যবহার করে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধীদের ফাঁসানো কিংবা সরকার পক্ষের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্তে মন্থরতার মতো অভিযোগও নতুন কিছু নয়। এই পরিস্থিতিতে খোদ প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য বিরোধীদের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.