Advertisement
Advertisement
MK Stalin

রুশ তেল কেনায় মোদিকে তোপ স্ট্যালিনের, বিজেপি বলল ‘অপরিপক্ক’

ট্রাম্পের 'শুল্কবোমা'য় কেন চাপে তামিলনাড়ু?

CM MK Stalin Takes A Dig At PM Modi Over Russian Oil
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 3, 2025 8:19 pm
  • Updated:September 3, 2025 8:19 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে ইউরোপ সফরে রয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। সেখান থেকেই মার্কিন ‘শুল্কবোমা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দাগলেন তিনি। স্ট্যালিনের বক্তব্য, যখন গুজরাটের শোধনাগারগুলির জন্য ছাড়ে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ করছে কেন্দ্র, তখন দেশের হোসিয়ারি হাব তামিলনাড়ুর তিরুপুরের রপ্তানিকারী সংস্থাগুলি উচ্চ হারে মার্কিন শুল্কের চাপে বিপর্যস্ত। অথচ কেন্দ্রের কোনও হেলদোল নেই।

Advertisement

তিরুপুরের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্কের জেরে বাস্তবিক বিপর্যস্ত। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এমন ঘটনায় আতঙ্কিত দক্ষিণ ভারতের পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৩ লক্ষ কর্মী। রুজি-রুটিতে টান পড়ায় মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার কর্মী প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী।

কৌশলী স্ট্যালিন তামিল ভাষায় এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে লিখেছেন, গুজরাটের সংস্থাগুলির জন্য ছাড়যুক্ত অপরিশোধিত তেলের ব্যবস্থা হচ্ছে, তখন আমাদের রপ্তানিকারকরা কষ্ট পেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, অথচ তাঁরা হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেন। অবিলম্বে ত্রাণ ঘোষণা করুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করুন এবং আপনার বিশ্বগুরু উপাধি যে যোগ্য তা প্রমাণ করুন।

পালটা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে “অপরিপক্ক এবং দুর্ভাগ্যজনক” বলেছে বিজেপি। দক্ষিণের রাজ্যে বিজেপি মুখপাত্র নারায়ণন তিরুপতির বক্তব্য, অপরিপক্ক এবং দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করেছেন স্ট্যালিন। এটা আশ্চর্যের যে মুখ্য়মন্ত্রী রাজনীতি এবং অর্থনীতি কোনোটাই বোঝেন না।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান। পরে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পাশাপাশি সতর্কবার্তা দিয়ে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে তেল বাণিজ্য চালালে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এই অবস্থায় বাণিজ্যের বিকল্প পথ খুঁজছে ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে আরও বাণিজ্যের পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও বেড়েছে ঘনিষ্ঠতা। সম্প্রতি চিনের তিয়ানজিনে এসসিও সামিটের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পার্শ্ববৈঠক করেন। কাছাকাছি এসে ট্রাম্পকে কার্যত বার্তা দেন তিন রাষ্ট্রপ্রধান। এই ছবি চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকার কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ঘরের অন্দরেও সমালোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ