সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে এবার জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে উঠছে বাংলার মুখ্যসচিবের বদলি। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay) দিল্লিতে বদলি নিয়ে একেবার দ্বিধাহীন ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এআইসিসির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হল,”বাংলার মুখ্যসচিবকে এভাবে দিল্লিতে বদলি করে দেওয়া আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর মোদি সরকারের প্রাণঘাতী হামলা। এর ফলে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।”
Modi Govt’s Malicious Recall of Bengal Chief Secretary is death knell for Federalism.
AdvertisementUnion Govt’s Lethal Assault on Democracy will create Anarchy in the Country!!
Our Statement-:
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala)
শনিবার এআইসিসির (AICC) তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “একপেশে,একরোখা এবং অসাংবিধানিকভাবে বাংলার মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করে গোটা দেশের বিবেককে চমকে দিয়েছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। মাত্র চারদিন আগেই ৩ মাসের জন্য তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছিল মোদি সরকার। এটা জানার পর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আরও অবাক করে।” কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত একইসঙ্গে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাত। এভাবে যদি শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত কেন্দ্র সরকার আইপিএস এবং আইএএসদের (IAS) ডেকে নেওয়া শুরু করে তাহলে গোটা দেশে সংবিধান এবং আইনের শাসন ভেঙে পড়বে। “
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”এভাবে যদি রাজ্যের আমলাদের প্রধান অর্থাৎ মুখ্যসচিবকে কেন্দ্র সরিয়ে দিতে পারে, তাহলে আইএএস-আইপিএসরা রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানবেন কেন? এর ফলে দেশে সার্বিকভাবে নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।” কংগ্রেসের (Congress) তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “ঠিক কী কারণে মাত্র চারদিনের মধ্যে বাংলার মুখ্যসচিবকে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত বদল, প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সরকার কি তার জবাব দেবে?” কংগ্রেসের দেওয়া বিবৃতিতে আলাপনের বদলির পাশাপাশি নারদ মামলা এবং কলকাতা হাই কোর্টের এক বিচারপতির লেখা বিস্ফোরক চিঠির প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলার নির্বাচনে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পরই জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। আরও একবার বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা নিয়ে জল্পনা শুরু করেছে। আর এবারে বিরোধী জোটের মধ্যমণি হিসেবে ভাবা হচ্ছে মমতাকে। কাকতালীয়ভাবে এরই মধ্যে একাধিক ইস্যুতে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসও। যা আলাদা করে তাৎপর্য রাখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.