সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাত ছেড়েছিলেন মঙ্গলবারই। একদিন পরই সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তিনি। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। তাঁর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের কয়েকজন কংগ্রেস নেতাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দিল্লিতে বিজেপি সদর দপ্তরে সিন্ধিয়ার বহু সমর্থকও উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক সিন্ধিয়ার সমর্থনে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। আরও চার বিধায়কের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ চলছে।
Live from Delhi: Jyotiraditya Scindia joins Bharatiya Janata Party (BJP), in presence of BJP President JP Nadda
Advertisement— ANI (@ANI)
প্রথমে ঠিক হয়, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সিন্ধিয়ার যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু, সময়মতো বিজেপি দপ্তরে পৌঁছাননি সিন্ধিয়া। পরে বিজেপি মুখপাত্র জাফর ইসলাম তাঁর বাড়িতে যান। জাফরের সঙ্গে দুপুর ২টো ১০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন এবং দুপুর ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ বিজেপি দপ্তরে পৌঁছান। দুপুর ২টো ৫৩মিনিট নাগাদ বিজেপিতে শামিল হন তিনি।
গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে রাজ্যসভার টিকিট পাচ্ছেন তিনি। আগামী ১৩ মার্চ রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। তার আগে বৃহস্পতিবারই গোয়ালিয়র যাবেন তিনি। নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তাও দেবেন জ্যোতিরাদিত্য। শোনা যাচ্ছে জ্যোতিরাদিত্যকে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দেবে মোদি সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের শর্তই রেখেছিলেন গুণার প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর যাবতীয় শর্ত মেনে নিয়েছে বিজেপি।তবে, সিন্ধিয়ার এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো অসন্তুষ্ট দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মধ্যপ্রদেশ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি প্রভাত ঝাঁ। তিনি ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই সিন্ধিয়ার সঙ্গে কমল নাথের অঘোষিত বিবাদ চলছিল। সিন্ধিয়া নিজে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু, কংগ্রেস সিন্ধিয়াকে বাদ দিয়ে কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সিন্ধিয়াকে দেওয়া হয় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ। কিন্তু, তিনি তা গ্রহণ করেননি। পরিবর্তে মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ দাবি করেন গুণার প্রাক্তন সাংসদ। কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি। পরে রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়ার দাবি জানান সিন্ধিয়া। কংগ্রেসের তরফে তা নিয়েও গড়িমসি করা হয়। বারবার উপেক্ষিত হয়ে শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার কংগ্রেস ছাড়েন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.