ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেরলের জনগণ চান শশী থারুরকে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সেই তথ্য সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন খোদ শশী। এই ঘটনায় এবার কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করলেন কেরলের বরিষ্ঠ নেতা কে মুরলীধরন। শশীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন আগে ঠিক করুন আপনি কোন দলের। সাম্প্রতিক সময়ে দলের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে বারবার মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন শশী। এরই মাঝে কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
গত কয়েকমাস ধরে শশীকে কেন্দ্র করে কার্যৎ গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে কেরল কংগ্রেসে। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রতিনিধিদলের বিদেশসফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢালাও প্রশংসা তো বটেই কংগ্রেসের সমালোচনাও করতে দেখা যায় তাঁকে। এরইমাঝে কেরলে মুখ্যমন্ত্রী মুখের সমীক্ষায় উঠে আসে শশীর নাম। তা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন কংগ্রেস সাংসদ। এর পালটা শশীকে পালটা তোপ দেগে এক্স হ্যান্ডেলে মুরলীধরন লেখেন, থারুরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি আসলে কোন দলের সদস্য। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সমীক্ষায় অন্য কেউ এগিয়ে থাকলেও ২০২৬ সালের নির্বাচনে যদি ইউডিএফ ক্ষমতায় আসে তাহলে ইউডিএফ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করা হবে। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচন জয়। এই ধরনের বিতর্কে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। কেরল কংগ্রেসে অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদেরই কাউকে বেছে নেওয়া হবে। সমীক্ষার ফল যাই হোক না কেন। দলের কিছু নিয়ম রয়েছে।
২০২৬ সালের মে মাসে কেরলের বিধানসভা নির্বাচন। পিনারাই বিজয়নের সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া হাত শিবির। এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, লড়াইয়ে শশীকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মানুষ। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৩০ শতাংশ পুরুষ ও ২৭ শতাংশ নারী তাঁর প্রতিই সমর্থন জানাচ্ছেন। ৩৪.২ শতাংশ বর্ষীয়ানরা (৫৫ বছর বা তার বেশি বয়স) ভোট দিচ্ছেন চারবারের সাংসদকে। ১৮-২৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রেও তিনিই পাচ্ছেন ২০.৩ শতাংশ ভোট। শশী থারুর নিজের এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন ওই সমীক্ষার ফলাফল।
এদিকে শশী থারুর সমীক্ষায় এত ভোট পেলেও এই মুহূর্তে দলের মধ্যেই কোণঠাসা তিনি। মার্কিন মুলুকে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান গেয়ে পবন খেরা, উদিত রাজ, জয়রাম রমেশের মতো নেতাদের খোঁচার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। শশী এআইসিসি সদস্য। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন লড়েছিলেন। এহেন নেতা লাগাতার প্রকাশ্যে দলের অবস্থানের উলটো পথে গিয়ে মোদি সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যেই শশী বিজেপির সুরে সুর মিলিয়েছেন। জরুরি অবস্থার নিন্দা করেছেন। মুরলিধরনের এই তোপ সেই প্রেক্ষিতেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.