সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। পাক সীমান্তে ঢুকে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড ধ্বংস। সেনাদের এই সাফল্যকে ফলাও করে প্রচার করেছিল প্রশাসন। এই সেদিনও ফের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে তিন পাক সেনাকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু তাতেও পাক সন্ত্রাসে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। এবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইককেই সরকারের নাটক বলে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিতের। তাঁর মতে গোটাটাই লোকদেখানো।
[ নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট নয়, সাফ কথা সুষমার ]
ভারতের মাটিতে পাক সন্ত্রাস গত এক বছরে বেড়েছে বই কমেনি। সন্ত্রাস দমনের লক্ষে চালানো হয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। ভারতের পক্ষ থকে তা সেনার বড় সাফল্য বলেই তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার কোনও প্রভাব পাকিস্তানের উপর পড়েনি। এক বছরে শতাধিকবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। সেনার কভারেই ভারতে ঢুকেছে জঙ্গিরা। অশান্ত করেছে কাশ্মীরকে। এমনকী বর্ষশেষেও হামলা চলেছে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার এক সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রতিদিন পাঁচ পাক জঙ্গি খতম হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি। ভারতীয় সেনার শহিদ হওয়া যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলওয়ামায় ওই ফিদায়েঁ হামলায় পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষীতের পুত্র সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “সরকারের কোনও নীতিই কাজ করছে না। বিশেষত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নাটকের কোনও প্রভাবই পড়েনি। আমাদের অন্যভাবে ভাবতে হবে। কিন্তু এই সরকার সেনাদের সুরক্ষা দিতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।”
Ek baat to saabit ho gayi ki sarkaar ki niti, khaaskar surgical strike ke jo natakiya inke pradarshan rahe hain, uska koi asar nahi ho paya. Hume dusre tarike se sochna padega aur mujhe nahi lagta ki sarkaar ke bas me hai ki senaon ko surakshit rakh sakein: S Dikshit, Congress
— ANI (@ANI)
বস্তুত গোড়ার দিকেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে তা থিতিয়েও যায়। কিন্তু পাক সন্ত্রাস যেভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে দেশের সুরক্ষা নিয়ে সরকারি নীতি প্রশ্নের মুখেই পড়ছে। শুধু বিরোধীরা নয়, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও এ নিয়ে চিন্তিত। বিশেষত যেভাবে পুলওয়ামায় পুলিশ পরিবারের ছেলেকেও মগজধোলাই করেছে জইশ জঙ্গিরা, তা নতুন করে ভাবাচ্ছে। এদিকে কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের ডোন্ট কেয়ার ভাব। কুলভূষণ ইস্যুতেই পাকিস্তান প্রমাণ করে দিয়েছে যে, রাষ্ট্রসংঘের কোনও ওজর-আপত্তি তারা মেনে চলবে না। ভারতের হুঁশিয়ারি, কড়া নিন্দাই সার, পাকিস্তান তাদের অনৈতিক কাজ বন্ধ করেনি। এমনকী হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্ত করেও ভারতকে ধাক্কা দিয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন ও আমেরিকার হাত মাথায় থাকার ফলেই প্রতাপ বেড়েছে পাকিস্তানের। এই পরিস্থিতিতে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক জেরুজালেম নিয়ে একটু হলেও অস্বস্তিকর জায়গায় পৌঁছেছে। ডোকলামকে কেন্দ্র করে চিনের সঙ্গেও সম্পর্ক ততটা ভাল নয়। ফলে পাকিস্তানের মোকাবিলায় ভারতকে যে ‘প্ল্যান বি’ নিতে হবে তা বলাই বাহুল্য। এদিন সেদিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এই কংগ্রেস নেতা।
[ নাগরিকপঞ্জীর প্রথম খসড়ায় বৈধ মাত্র ১.৯ কোটি, উদ্বেগে বাকি অসমবাসী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.