Advertisement
Advertisement
Joint Parliament committee

‘স্বৈরাচারী’ বিলে আলোচনা নয়, মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীদের ‘গদি কাড়া’ বিলের সংসদীয় কমিটিতে নেই কংগ্রেসও!

ইতিমধ্যেই ওই বিল নিয়ে তৈরি কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল, আপের মতো দল।

Congress likely to keep away from joint Parliament committee on 3 home ministry Bills

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 30, 2025 2:02 pm
  • Updated:September 30, 2025 2:02 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীদের ‘গদি কাড়া’ বিল নিয়ে কোনওরকম আলোচনা নয়। এই বিল নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে যে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি হচ্ছে তাতে অংশ নেবে না কংগ্রেসও। প্রাথমিকভাবে দলের তরফে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

বাদল অধিবেশনের শেষদিনে লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা। গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের জন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ না পান, সেটাই নিশ্চিত করা হবে ওই বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপদে আসীন অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন তাহলে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে। তবে ওই বিলটিকে পাশ না করিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। বিল নিয়ে আলোচনার জন্য মোট ২১ সদস্যের যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠিত হবে।

কংগ্রেস-সহ গোটা বিরোধী শিবির বিলটির বিরোধিতা করেছে। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য, এটা আসলে বিরোধীদের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এই বিল আসলে সুপার এমার্জেন্সি লাগু করার চেষ্টা। ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে চিরতের ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর হিটলারোচিত আঘাত হানা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। এটা আসলে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টার শামিল।

ইতিমধ্যেই এই বিল নিয়ে যে সংসদীয় কমিটি গঠন করার প্রস্তাব কেন্দ্রের তরফে এসেছে সেই কমিটি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, আপ এবং শিব সেনার উদ্ধব শিবির। এবার সেই একই পথে হাঁটছে কংগ্রেস। শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে ইন্ডিয়া জোটের অন্য সঙ্গীরাও ওই একই পথে হাঁটতে চলেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ