সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কখনও সরকারের বিদেশনীতির প্রশংসা। কখনও সেনার প্রশংসার ছলে বিজেপি সরকারের নীতির প্রশংসা। কখনও আবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা। বারবার দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন শশী থারুর। তবে আর বরদাস্ত করতে রাজি নয় কংগ্রেস। খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে যেভাবে প্রকাশ্যে তাঁকে কটাক্ষ করলেন, তাতে বলে দেওয়াই যায় তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদের জন্য দরজা বন্ধ করতে চলেছে কংগ্রেস।
দিন দুই আগেই শশী থারুর এক সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, তেজ, গতিশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই তিনটি গুণ দেশের মূল্যবান সম্পদ। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “মোদির ঐক্যের শক্তি, স্পষ্ট যোগাযোগের কার্যকারিতা এবং সুগঠিত কূটনৈতিক চিন্তাভাবনা ভারতকে ক্রমেই সমৃদ্ধ করছে। সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আমি এটা বুঝতে পেরেছি।” শশী যেভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন, তাতে কংগ্রেস রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায়। দলের তরফে মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত বলে দেন, শশী যা বলেছেন সেটা তাঁর নিজস্ব মতামত। কোনওভাবেই দলের কথা নয়।
এবার খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে থারুরকে নিয়ে মুখ খুললেন। দলের সাংসদের ওই প্রবন্ধ সম্পর্কে কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, “আমাদের জন্য সবার আগে দেশ। কিন্তু কারও কারও জন্য মোদিই সবার আগে। যার যা খুশি সে লিখতেই পারে।” বস্তুত, খাড়গে থারুরকে তথাকথিত মোদি ভক্তদের সঙ্গে তুলনা করে দিলেন। কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যে মোটামুটি স্পষ্ট, শশীকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিল হাত শিবির।
শশী এআইসিসি সদস্য। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন লড়েছিলেন। এ হেন নেতা লাগাতার প্রকাশ্যে দলের অবস্থানের উলটো পথে গিয়ে মোদি সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। কংগ্রেস সম্ভবত আর এই অস্বস্তি মেনে নিতে পারছে না। তাহলে শশীর গন্তব্য কি বিজেপি? মোদির প্রশস্তিতে ভরানো প্রবন্ধ লেখার পরও কংগ্রেস সাংসদ বলে দিয়েছেন, ‘বিজেপিতে যাওয়ার জন্য তিনি মোটেই লাফাচ্ছেন না।’ তবে আগামী দিনে তিনি যদি হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে লাফিয়ে পড়েন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.