Advertisement
Advertisement
Congress

বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা, ট্রাম্প-মুনির সাক্ষাৎ নিয়ে মোদিকে তোপ কংগ্রেসের

পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করে সম্মানিত, জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Congress slams Narendra Modi Government after Trump-Munir meeting
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:June 19, 2025 3:52 pm
  • Updated:June 19, 2025 4:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর দু’জনে একটি বৈঠকও করেন। বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, মুনিরের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি সম্মানিত। বলা বাহুল্য, এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে নয়াদিল্লি। সেই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বিরোধী দলগুলি। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ ট্রাম্প-মুনির সাক্ষাৎ নিয়ে তোপ দাগেন মোদি সরকারকে। তিনি বলেন, এই ঘটনা (ট্রাম্প-মুনির সাক্ষাৎ) ভারতের জন্য বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা।

কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান নন। তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান। তথাপি ট্রাম্প তাঁকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান এবং প্রচুর প্রশংসাও করেন। এক্স হ্যান্ডেলে রমেশ লিখেছেন, এই সেই ব্যক্তি যাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যের পরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। প্রচ্ছন্ন মদত দিয়েছিল পাক সেনা। এর পরেই মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এই ঘটনা ভারতের বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা।

ট্রাম্প ও মোদির ‘বন্ধুত্বে’র বিষয়টি নিয়ে প্রচার করে থাকে গেরুয়া শিবির। উভয় রাষ্ট্রনেতার সুসম্পর্কের কথা একশ্রেণির মিডিয়াও বলে থাকে। যদিও বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক চাপানো, সর্বোপরি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডে তার প্রভাব দেখা যায়নি! বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের ‘সফল’ কূটনৈতিক চাল নিয়েও কথা হয়। যদিও সেই সফলতা বাস্তবের মাটিতে ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। বিশ্লেষকদের একাংশেরও দাবি, ক্রমশ পড়শি দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সাউথ ব্লক। মুনি-ট্রাম্প মধ্যাহ্নভোজ এবং বৈঠক এই সমালোচনা আরও জোরদার করল।

তবে এদিনই প্রথমবার সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করেননি ট্রাম্প। আসলে ভারত শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত একান্তই ভারত ও পাকিস্তানের নিজস্ব। এতে কোনও বাণিজ্য চুক্তি বা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু ট্রাম্প এতদিন জোরালো কণ্ঠে দাবি করে আসছেন দুই দেশের সংঘাত বন্ধের নেপথ্যে তিনিই রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের এদিনের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement