Advertisement
Advertisement
কোভ্যাক্সিন দিল্লি এইমসে

মিলল অনুমতি, এবার দিল্লি এইমসেও হবে ‘কোভ্যাক্সিনে’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল

ইতিমধ্যেই পাটনা এইমসে এই ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

Covaxin receives AIIMS Delhi nod for human clinical trials
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 19, 2020 11:26 am
  • Updated:July 19, 2020 11:26 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও খানিকটা গতি পেল ভারতে তৈরি প্রথম ‘করোনার প্রতিষেধক’ র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিল দিল্লি এইমসও। শুক্রবার এইমসের এথিকস কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিল্লি এইমসে মোট ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘প্রতিষেধক’ (Covaxin) দেওয়া হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে হাসপাতাল সুত্রে।

Advertisement
Vaccine
প্রতীকী ছবি

উল্লেখ্য, কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী ভারত বায়োটেক গত ১৫ জুলাইই নিজেদের তৈরি ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। সূত্রের খবর, দেশের মোট ১২টি প্রথম সারির হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হবে। দস্তুর মেনে ‘ডবল ব্লাইন্ড’ পদ্ধতি মেনে বেছে নেওয়া হচ্ছে এই ৩৫৭ জনকে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ১৫ জুলাই বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘প্রতিষেধক’ প্রয়োগও করা হয়েছে। সবার প্রথমে পাটনা এইমসে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মধ্য সেপ্টেম্বরে শীর্ষ উঠবে দেশের করোনা গ্রাফ, নয়া আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের]

১৫ জুলাই শুরু হলেও দিল্লি এইমসে (All India Institute Of Medical Sciences, New Delhi) কোনও স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এখনও এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। এইমস সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই মোট ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে। এদের প্রত্যেকের বয়স হবে ১৮-৫৫ বছরের মধ্যে। এদের কারও মধ্যে কোনও কো-মরবিডিটি থাকবে না। এই ১০০ জনকে মোট ১৫০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লি এইমস এই ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর নাম নথিভুক্তকরণ শুরু করেছে। প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। অন্য কোনও ক্রনিক রোগ আছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করা হবে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তবেই দেওয়া হবে এই ওষুধ।

[আরও পড়ুন: লাগামহীন করোনা, দেশে একদিনেই নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ৩৯ হাজার]

কোনও ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে পারে। প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। ভাইরোলজিস্টদের মতে, বয়স, বর্ণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষে বহু মানুষের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়। মোট তিন ধাপে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রথম পর্যায়ের এই ট্রায়ালে খতিয়ে দেখা হবে, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে রোগীর শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কিনা। আশানুরূপ ফল ‘ভ্যাকসিন’টির পেলেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যাবে ICMR।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ