সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:কিছুদিন আগে পথকুকুরদের রাস্তা থেকে তুলে আশ্রয়কেন্দ্রে সরানোর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেলিব্রিটি থেকে পশুপ্রেমী আমজনতা, পশুপ্রেমী সংগঠনগুলিও শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। এবার পশুপ্রেমীদের একাংশকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বিজ্ঞান ভবন নিজের বক্তৃতায় তিনি বলেন, গরুকে পশুই মনে করেন না পশুপ্রেমীদের একাংশ।
শুক্রবার বিজ্ঞান ভবনের অনুষ্ঠানে হালকা মেজাজে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমি পশুপ্রেমীদের সঙ্গে দেখা করেছি।” একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রোতা-দর্শকদের অনেকে মৃদু স্বরে হাসতে থাকেন। তখন প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “আপনার হাসছেন কেন? আমাদের দেশে অনেক পশুপ্রেমী আছেন, কিন্তু তাঁদের অধিকাংশই গুরুকে প্রাণী বলে মনেই করেন না।” এই মন্তব্যের পড়ে দর্শকদের অধিকাংশই হাসিতে ফেটে পড়েন। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সি শেখাওয়াত পর্যন্ত হাসি থামাতে পারেননি।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে পথকুকুরদের কামড়ে জলাতঙ্ক এবং তার জেরে আমজনতার মৃত্যু- দুটোই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, এই সংক্রান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টে রায় দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, দিল্লি-এনসিআর এলাকার সমস্ত পথকুকুরকে অবিলম্বে ধরতে হবে। তাদের নির্বীজকরণ করিয়ে পাঠাতে হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যতটা প্রয়োজন বলপ্রয়োগ করে পথকুকুরদের ধরতে হবে। কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হবে। শীর্ষ আদালতের মতে, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও দেশজুড়ে পশুপ্রেমীদের একাংশ এই রায় মেনে নিতে পারেনি। পথকুকুরদের সঙ্গে কী ব্যবহার করবে প্রশাসন, তা ভেবে শঙ্কিত তাঁরা। যদিও বেড়াল, গরুর মতো অন্য প্রাণীদের নিয়ে তাঁদের হেলদোল নেই! এই বিষয়টিকেই চিহ্নিত করতে চেয়েছেন মোদি। পশুপ্রেমীদের কাছে কুকুর এবং গরুর জন্য আলাদা মাপকাঠি রয়েছে। তিনি উল্লেখ করতে চেয়েছেন যে “প্রাণী” শব্দটি কেবল রাস্তার কুকুর বা পোষা কুকুরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে না। বলা বাহুল্য, গেরুয়া শিবিরের কাছে গরু তথা গোমাতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.