Advertisement
Advertisement
CRPF

ISI-এর ‘পে রোলে’ চরবৃত্তি! ধৃত CRPF জওয়ানকে নিয়ে গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গত দু’বছর ধরে তিনি চরবৃত্তি করে গিয়েছেন।

CRPF jawan arrested for spying got Rs 3,500 a month from Pak intel officer who posed as journalist
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:May 31, 2025 2:45 pm
  • Updated:May 31, 2025 2:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরবৃত্তির জন্য মাসিক ‘বেতন’ ৩ হাজার ৫০০ টাকা। আবার বিশেষ তথ্য পাচার করলে পুরস্কারস্বরূপ মিলত ‘বোনাস’ ১২ হাজার টাকাও। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ধৃত সিআরপিএফ জওয়ানকে নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গোয়ান্দাদের হাতে।

সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে ধৃত সিআরপিএফ জওয়ান মতি রামের সঙ্গে আলাপ হয় এক মহিলার। যিনি নিজেকে চণ্ডীগড়ের এক সাংবাদিক বলে দাবি করেছিলেন। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় মতির। এরপরই তিনি ওই মহিলার হাতে তুলে দিয়েছিলেন দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক গোপন তথ্য। কিছুদিন পর ওই মহিলার সহকর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন এক যুবক। পরে জানা যায়, তিনি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একজন এজেন্ট। কিন্তু ওই মহিলার বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য তদন্তকারীরা জানতে পারেননি। তবে তাঁর পরিচয়ও যে ভুয়ো ছিল সেই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই বলেই জানিয়েছেন গোয়েন্দার।

কী কী তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিলেন ওই সিআরপিএফ জওয়ান? এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাদের গতিবিধির বিবরণ, ভারতের গোয়েন্দাদের বিভিন্ন রিপোর্ট, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের মতো বহু সংবেদনশীল তথ্য তিনি আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আর এই সব কাজের জন্যই তাকে মাসিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা ‘বেতন’ দিত পাক গুপ্তচর সংস্থা। শুধু তাই নয়, বিশেষ তথ্য পাচার করলে পুরস্কারস্বরূপ মিলত ‘বোনাস’ ১২ হাজার টাকাও।      

উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন বেশ কয়েকজন ‘গদ্দার’ দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় ‘সুন্দরী’ ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। এরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ ক’জনকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যেই ছিলেন এই সিআরপিএফ জওয়ান। সূত্রের খবর, গত দু’বছর ধরে তিনি চরবৃত্তি করে গিয়েছেন। অবশেষে দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। প্রশ্ন উঠছে, যাঁদের হাতে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব থাকে, তাঁরাই যদি এইভাবে শত্রুপক্ষের হয়ে কাজ করে তাহলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে কী করে? দীর্ঘ ২ বছর ধরে পাক চর হিসাবে কাজ করে গেলেও মতিকে ধরা গেল না কেন, উঠছে সেই প্রশ্নও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement