Advertisement
Advertisement
DA Case in Supreme Court

‘দরকারে কিস্তিতে দেওয়া হোক ডিএ’, সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব মামলাকারীদের

বৃহস্পতিবারই ডিএ মামলার শুনানি শেষ হওয়ার কথা।

DA Case in Supreme Court: WB Govt should repay DA on installment basis, says employees
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 6, 2025 7:37 pm
  • Updated:August 6, 2025 7:37 pm   

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দরকারে কিস্তিতে মেটানো হোক রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা। সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া। মামলাকারীদের অভিযোগ, রাজ্যের ডিএ দেওয়ার কোনও সদিচ্ছা নেই। যদিও একদিন আগেই আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ডিএ সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। যার কোনও পালটা যুক্তি এদিনও দেখাতে পারেননি মামলাকারীদের আইনজীবীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার মামলার শুরুতেই রাজ্যের আইনজীবী শ্যাম দেওয়ান স্পষ্ট জানান, কোনও আইন বা নিয়মে মহার্ঘ্যভাতাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে উল্লেখ নেই। স্বপক্ষে তেমন যুক্তিগ্রাহ্য কিছু তুলে ধরতে পারেননি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ মামলাকারীদের আইনজীবীরাও। উল্টে এদিন আদালতে রাজ্যের আরেক আইনজীবী কপিল সিবল স্পষ্ট করে দেন যে, ১০০% ডিএ মিটিয়ে দিতে হলে যত পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা রাজ্যের বাজেটে নেই। একান্তই যদি তা দিতে হয়, তাহলে রাজ্যকে রিজার্ভব্যাঙ্কের কাছে ধার করতে হবে। রাজ্যের সেই টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এরপর আবার বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে তবে পাওয়া যাবে ঋণ। যা অনেক লম্বা প্রক্রিয়া। তাছাড়া কেউ রাজ্যকে ঋণ নিতে বাধ্যও করতে পারে না। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সিব্বল জানান, রাজ্যের বহু টাকা কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য। ১০০ দিনের কাজের ভারও এখন রাজ্যের উপর। তাছাড়া সদ্য কোভিড সামাল দিতেও ব্যাপক খরচ হয়েছে রাজ্যের।

বুধবার মামলাকারী, অর্থাৎ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনল বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ভিডিশন বেঞ্চ। এদিন রাজ্যের পালটা যুক্তি না দিয়ে মূলত সরকারকে দোষারোপ করারই চেষ্টা করেন মামলাকারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনজীবীদের দাবি, “ডিএ ইচ্ছা অনুযায়ী দেওয়া যায় না। নির্দিষ্ট সময়মতো দিতে হয়। এটা সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে।” এদিন রাজ্য সরকারি কর্মীদের মূল যুক্তি ছিল, দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ের ইয়ুথ হস্টেলে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মীরাও ডিএ পান এআইপিসিআই অর্থাৎ অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী। অথচ পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত অন্য সরকারি কর্মচারীরা সেই হারে ডিএ পাচ্ছেন না। এটা বৈষম্য।

শুনানির একটা পর্যায়ে সরকারি কর্মীদের আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া দাবি করেন, রাজ্য সরকার একটা সময় বছরে দুবার ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটা বছরে একবার করা হয়। পরে সেটা দুবছরে একবার করা হয়। আর এখন ডিএ দেওয়ার কথা বলছেই না। তিনি একই সঙ্গে প্রস্তাব দেন, “দরকার পড়লে রাজ্য সরকার কিস্তিতে ডিএ মেটাক। সরকারি কর্মীরা তাতেও প্রস্তুত।” সোমবার থেকে টানা ডিএ মামলার শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবারই শুনানি শেষ হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার পালটা সওয়ালের সুযোগ পাবেন রাজ্য সরকারি আইনজীবীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ