নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় প্রচুর ‘গন্ডগোল’, কোথাও ভোটের আগে নাম সংযোজন, কখনও বাদ পড়ে যাওয়া, জনমানসে চরম বিভ্রান্তি। এসব নিয়ে মঙ্গলবার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করলেন তৃণমূল প্রতিনিধিদল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা দাবি করে এলেন, রাজনৈতিক দলকে না জানিয়ে ভোটের আগে নতুন কোনও ভোটারের নাম তোলা যাবে না। তাঁদের দাবিদাওয়া মন দিয়ে শুনে কমিশনের কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন, সবদিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে আলোচনা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”২ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। আমরা জানিয়েছি, কোনও ভোটার যেন বাদ না যায়। ২০২৪ সালে যে যে ভোটারের নাম তালিকায় রয়েছে, তাঁরা যেন সকলে থাকেন। এর আগে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লিতে নির্বাচনের ১ মাস আগে প্রচুর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, আবার যোগও হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে চম্পাহাটি-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৫০০ ভোটারের নাম হঠাৎ যুক্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। যা মোটেই কাম্য নয় বলে মত তাঁদের।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, যে ভোটের ২৪ দিন আগে পর্যন্ত তালিকায় নাম তোলা যাবে। এছাড়া ভোটের সময় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়েও এদিন আলোচনা করেন কল্যাণ, ফিরহাদ, চন্দ্রিমারা। রাজ্য চায়, রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হোক। আর বিজেপির দাবি, সব ভোটেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। এর মাঝামাঝি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হোক, কমিশনের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কমিশন জানিয়েছে, এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সবমিলিয়ে ভোটার তালিকা ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ জারি রাখতে নানাভাবে সচেষ্ট রাজ্যের শাসকদল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.