ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে ততই স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। এবার সামনে এল সদ্য ধৃত বাবাজি সম্পর্কে নতুন অভিযোগ। ইনস্টিটিউটের এক প্রাক্তন পড়ুয়ার অভিযোগ, প্রায় ৯ বছর ধরেই এই ‘যৌনলীলা’ চালিয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত। এদিকে বৃহস্পতিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন বাবাজির তিন শিষ্যা! জানা যাচ্ছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন, পড়ুয়াদের চাপ দিয়ে অভিযুক্তর যৌন লালসার শিকার হতে বাধ্য করতেন তাঁরা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বাবাজির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক প্রাক্তনীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ২০১৬ সালে তিনি এখানে পড়াশোনা করতেন। দাবি, অনেকেই নিজেজের ছেলেমেয়েকে নির্দ্বিধায় পড়তে পাঠাতেন কেননা তা কোনও একজন বাবা পরিচালনা করেন! অথচ এলাকার লোকেরাও বাবার ‘কীর্তি’ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল বলেই দাবি তাঁর।
‘টার্গেট’ করা ছাত্রীদের প্রতি তিনি কেমন আচরণ করতেন? তাঁর দাবি, বাবাজি নাকি যে মেয়েকে ‘টার্গেট’ করতেন তাঁকে আলাদা ঘরে রাখতেন। এমনকী তাঁর ফোনটি কেড়ে নিয়ে নতুন ফোন উপহার দিতেন। তবে সেই ফোন থেকে সেই ছাত্রী কাকে কাকে ফোন করতে পারবেন সেটা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনিই। এপ্রসঙ্গে এই ব্যক্তি বলছেন, ”তাঁদের ফোন কেড়ে নেওয়া হত। ব্ল্যাকবেরি এবং অ্যাপলের মতো দামি ফোন দেওয়া হত। যাতে তিনি সেগুলির অ্যাক্সেস পেতে পারেন এবং চ্যাটগুলি মুছে ফেলতে পারেন ইচ্ছেমতো। ওই ছাত্রীদের তাঁদের পরিবার এবং আত্মীয়দের সঙ্গে কথা না বলতে বলা হয়েছিল।”
সেই সঙ্গেই তাঁর আরও দাবি, ”কর্মী হোক কিংবা পড়ুয়া, সকলের সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করতেন বাবাজি। যা মনে আসত বলে দিতেন। লোককে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া, বেতন না দেওয়া এসবই ছিল সাধারণ ব্যপার।” তাঁর এক বান্ধবীও ওই বাবাজির নজরে পড়েছিলেন বলেই দাবি বক্তার। তাঁকে নাকি চৈতন্যানন্দ মথুরায় ইন্টার্নশিপ করতে পাঠানো হবে। মাত্র একজনকে এভাবে পাঠানোর প্রস্তাবে সন্দেহ হয় ওই পড়ুয়ার। তিনি দ্রুত ইনস্টিটিউট ছাড়েন। ওই ছাত্রী বাবাজির বিরুদ্ধে এফআইরও দায়ের করেন বলে দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.