Advertisement
Advertisement
Saket Gokhale

দিল্লি হাই কোর্টেও খারিজ আবেদন, ফের চাপে সাকেত গোখলে, গুনতে হবে ৫০ লক্ষ জরিমানা!

২০২১ সালের জুন মাসে ধারাবাহিক টুইট বার্তায় পুরী দম্পতির সুইজারল্যান্ডে কেনা একটি অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাকেত।

Delhi High Court dismisses TMC MP Saket Gokhale’s plea to recall defamation damages
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 2, 2025 1:22 pm
  • Updated:May 2, 2025 3:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী পুরীর করা মানহানির মামলায় আরও চাপে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। ফলে সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর পোস্ট করার জন্য সাকেতের বিরুদ্ধে যে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, সেটা বহাল রইল।

২০২১ সালের জুন মাসে ধারাবাহিক টুইট বার্তায় পুরী দম্পতির সুইজারল্যান্ডে কেনা একটি অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাকেত। তাঁর অভিযোগ ছিল হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরী দুর্নীতির টাকায় ওই অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। ওই ঘটনায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ট্যাগ করে ইডির তদন্ত দাবি করেন অধুনা তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু পুরী দম্পতি ওই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সাকেতের বিরুদ্ধেই মানহানির মামলা করেন।

২০২৪ সালের জুন মাসে দিল্লি হাই কোর্ট সাকেতকে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত নির্দেশ দেয়, ক্ষমা চেয়ে পুরী দম্পতিকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এদিকে ওই জরিমানা না মেটানোয় দিল্লির এক আদালতে সাকেতের একাংশ বেতন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। নির্দেশে প্রতিমাসে সাকেতের বেতনের দুই-তৃতীয়াংশ কেটে নিতে বলেছে আদালত। তারপরই নড়েচড়ে বসেন সাকেত। তিনি মূল রায় পুনর্বিবেচনার জন্য দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরব জানিয়েছেন, আইন মেনে ১৮০ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানোর কথা। কিন্তু সাকেত তা করেননি। তাই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।

এই আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার অর্থ, আর্থিকভাবে রীতিমতো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে সাকেতকে। অবশ্য তাঁর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা। এদিকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের সাংসদকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদের বাইরে এবং ভিতরে তৃণমূলের সাংসদরা কেন্দ্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য তাঁদের রাজনৈতিক ‘প্রতিহিংসার’ শিকার হতে হচ্ছে বলেই মনে করছে তৃণমূল। তৃণমূলের সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে তাদের সমস্ত সাংসদ, ৪১ জনই প্রতিমাসে নিজেদের বেতন থেকে চার হাজার টাকা করে সাকেতকে দেবেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement