সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহিতদের যৌনতা নিয়ে প্রত্যাশা থাকতে পারে। অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে তা নিয়ে প্রত্যাশা থাকতে পারে না। বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করা হল দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court)।
বিচারপতি রাজীব শকধের এবং বিচারপতি সি হরি শংকরের ডিভিশন বেঞ্চে বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন আইনজীবী করুণা নন্দী। সেই সংক্রান্ত আলোচনা করতে গিয়েই বিচারপতি সি হরি শংকর জানান, বিবাহিত আর অবিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে তফাত রয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের একটা প্রত্যাশা থাকে। পাশাপাশি অধিকারবোধও থাকে। সেই কারণেই বিবাহিত সম্পর্কে যৌনতা নিয়ে প্রত্যাশা থাকতে পারে এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে যৌনতা নিয়ে আশা থাকতে পারে না বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
[Marital rape] Married parties may have right to expect sexual relationship, unmarried couples do not: Delhi High Court remarks
report by
Read story:
— Bar & Bench (@barandbench)
অবশ্য বৈবাহিক ধর্ষণ যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই বলেই মনে করেন বিচারপতি শংকর। তাঁর মতে, এ বিষয়ে আমেরিকা এবং ব্রিটেনে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। যুক্তি, পালটা যুক্তিও দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের নিজস্ব নীতি রয়েছে। নিজস্ব আইন, নজির রয়েছে। তবে সমস্ত অনিচ্ছাকৃত যৌন সম্পর্ককে কি ধর্ষণের তালিকায় ফেলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
এর আগে অবশ্য আইনজীবী করুণা নন্দী এজলাসে জানান, বৈবাহিক ধর্ষণ শুধুমাত্র নারীর ব্যক্তিগত সম্মান হানি করে না, তা যৌনতার অধিকার এবং স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকারও হনন করে। তাঁর দাবি, স্ত্রীর যদি স্বামীকে না বলার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তো হ্যাঁ বলার স্বাধীনতাও নেই। যৌন নির্যাতন বিবাহিত হওয়া বা না হওয়ার উপর নির্ভর করে না বলেই জানান আইনজীবী। বিবাহিত মহিলারা স্বাস্থ্য পরিদর্শককেও নির্যাতনের কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন বলে জানান করুণা নন্দী। আপাতত বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.