সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশ। হু হু করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতে।পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে লকডাউন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আর এরপরই ফিরে এল পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহায়তার সেই চেনা ছবি। গত বছরের মার্চে দেশব্যাপী লকডাউন (Lockdown) ঘোষিত হওয়ার পরে যে ধরনের ছবি দেখা গিয়েছে বারবার। এবার সেই ছবিই ফের দেখা গেল। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রকে আরজি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
সোমবার কেজরিওয়ালের ঘোষণার পরই গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাসে দেখা গেল শ্রমিকদের ভিড়। সেই অসহায় ভিড়ে স্বাভাবিক ভাবেই সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড বিধি মানা সম্ভব ছিল না পরিযায়ী শ্রমিকদের পক্ষে। কেবল সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাই নয়, সেই সঙ্গে বাসের ভাড়া রাতারাতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার ফলে বাড়ি ফেরা নিয়েই তখন তাঁরা দোলাচলে। অভিযোগ, কার্যত সুযোগ বুঝে বাসের চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন দশ গুণ পর্যন্ত!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের অসহায় পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে এক শ্রমিককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা দিন আনি দিন খাই। লকডাউন ঘোষণা করার আগে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল আমাদের কিছুটা সময় দেওয়া। সুযোগ বুঝে চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যেখানে ২০০ টাকার মধ্যেই আমরা বাড়ি চলে যেতে পারি, সেখানে খরচ বাড়িয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে! কী করে বাড়ি ফিরব আমরা?’’
| Delhi: A huge rush of migrant workers at Anand Vihar Bus Terminal.
Delhi Govt has imposed a 6-day lockdown beginning at 10 pm tonight.
— ANI (@ANI)
এমনিতেই গত বছর লকডাউনের ধাক্কায় রোজগারে মন্দা নেমেছে। এই অবস্থায় ফের একটা লকডাউন। আপাতত তা ৬ দিনের জন্য। যদি মেয়াদ বাড়ে তাহলে যে দুর্ভোগ আকাশছোঁয়া, তা বুঝতে পারছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া তাঁরা। মাথায়, ঘাড়ে ব্যাগের বোঝা নিয়ে অসহায়ের মতো এদিক ওদিক করতে দেখা গিয়েছে অনেককে।
একই ছবি গাজিয়াবাদ সীমান্তেও। সেখানেও শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের উদভ্রান্ত ভিড়। এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘লকডাউনের সময় কাজ থাকবে না। সরকারও কোনও সাহায্য করবে না। সেই কারণেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কেননা লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে না খেতে পেয়ে মরতে হবে।’’
प्रवासी एक बार फिर पलायन कर रहे हैं। ऐसे में केंद्र सरकार की ज़िम्मेदारी है कि उनके बैंक खातों में रुपय डाले।
लेकिन कोरोना फैलाने के लिए जनता को दोष देने वाली सरकार क्या ऐसा जन सहायक क़दम उठाएगी?
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi)
এদিকে এই পরিস্থিতিতে সরকারের পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার সকালে করা এক টুইটে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু অর্থসাহায্য করা। যদিও সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, করোনা সংক্রমণের জন্য সরকার যেখানে সাধারণ মানুষকেই দোষ দিচ্ছে, সেখানে এমন ‘জনকল্যাণমুখী’ পদক্ষেপ কি সরকার করবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.