Advertisement
Advertisement

রাম রহিমের বিরুদ্ধে দু’টি খুনের মামলার শুনানি, পঞ্চকুলা কার্যত দুর্গ

বিচারক সেই জগদীপ সিং।

Dera chief Ram Rahim to face trial for murder case
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 16, 2017 5:19 am
  • Updated:September 16, 2017 5:24 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলবন্দি ডেরা সাচা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক খুনের মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে শনিবার ফের উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে হরিয়ানায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে প্রশাসন। ধর্ষক বাবার বিরুদ্ধে সিরসার এক সাংবাদিক রাম চন্দর ছত্রপতি ও ডেরার প্রাক্তন ম্যানেজার রঞ্জিত সিংকে খুনের অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

[রাম রহিমের লালসা মেটাতে শরীর খুঁজে দিত পোষা ‘বিষকন্যা’রা]

ধর্ষণের অভিযোগে যে সিবিআই আদালত গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে ২০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়, আজ সেই আদালতেই ফের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াবে গুরমিত। সিবিআই আদালতের বিচারক জগদীপ সিং শোনাবেন তাঁর নির্দেশ। এদিনের শুনানিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হতে পারে পঞ্চকুলা, এই আশঙ্কায় হরিয়ানার ডিজিপি বি এস সাঁধু পর্যাপ্ত অধাসেনা ও হরিয়ানা পুলিশ মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সেক্টর ওয়ানের আদালত চত্বরকে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। শহরে কোনও ডেরা সদস্যকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অতীতের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।


তবে নিরাপত্তার কারণে এদিন রাম রহিমকে সশরীরে আদালতে তোলা হবে না। ভিডিও কনফারেনসিংয়ের মাধ্যমে চলবে মামলার শুনানি। ২০০২-তে ওই সাংবাদিক ও ডেরার ম্যানেজারকে খুনের অভিযোগ রয়েছে ধর্ষক বাবার বিরুদ্ধে। ডেরার কুকীর্তি ফাঁস ও গুরমিতের দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ্যে আনতেই ওই দু’জনকে খুন করায় গুরমিত, অভিযোগ এমনটাই। তবে জেলে যাওয়ার পর থেকেই গুরমিতের প্রভাব প্রতিপত্তি খর্ব হতে শুরু করেছে। সুযোগ বুঝে চম্পট দিয়েছে বাবার পালিতা কন্যা ও অভিযুক্ত শয্যাসঙ্গিনী হানিপ্রীতও।

[প্রবল যৌন ইচ্ছায় কাতর রাম রহিম, জানালেন জেলের চিকিৎসকরা]

জেলে বসে ‘বাবা’ এখন আর পাঁচটা সাধারণ বন্দির মতোই জীবন কাটাচ্ছে। কিন্তু এদিনের শুনানিকে এতটুকু হালকাভাবে নিতে রাজি নয় পুলিশ ও প্রশাসন। এর আগে যেদিন গুরমিতকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, সেদিন ডেরা অনুগামীদের তাণ্ডবে হরিয়ানা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ৩৮ জন মানুষ মারা যান, আহত হন ২৫০ জনেরও বেশি। অসংখ্য গাড়ি-বাড়ি পুড়িয়ে দিনভর কার্যত তাণ্ডব চালায় ‘বাবা’র ভক্তরা। শেষে কারফিউ জারি করে, সেনা-কমান্ডো নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

[জানেন, গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিপুল জনপ্রিয়তার রহস্যটা কী?]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস