ইডেনে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অভিমান থাকলেও তিনি দলের সৈনিক। দল চাইলে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চান। দিল্লিতে গিয়ে স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলছেন, “রাজ্যে নির্বাচন আসছে। দল যদি মনে করে দায়িত্ব দেবে, তা করব।” নিজের পছন্দের আসনের নামটাও জানিয়ে দিলেন দিলীপ।
২০১৬ সালে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা জ্ঞান সিং সোহনপালকে হারিয়ে খড়্গপুর থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। অপ্রত্যাশিত সেই জয় দিলীপ ঘোষের প্রাসঙ্গিকতা রাজ্য রাজনীতিতে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। ঘটনাচক্রে সেই জয়ের ৯ বছর বাদে দিলীপ কিছুটা কোণঠাসা। আবারও প্রাসঙ্গিকতা খুঁজছেন। আর সেই লড়াইয়ে খড়গপুরকেই রণক্ষেত্র হিসাবে বাছতে চাইছেন তিনি।
বিধানসভায় কি লড়তে চান? তাতে দিলীপের সাফ কথা, “আগেও হয়েছি। তারপর দল লোকসভায় প্রার্থী করল, হলাম। আবার যা দায়িত্ব দেবে, তাই করব।” তাঁর পছন্দের আসন যে খড়গপুর সেটাও গোপন করেননি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর কথায়, “আমার নিজের জায়গা খড়গপুর। লড়তে হলে সেখানেই লড়ব। লোকসভায় দল বলল বর্ধমান যাও। গেলাম। লাভ-ক্ষতি কী হল, পার্টি দেখেছে, সবাই জানে।” উনিশের লোকসভায় মেদিনীপুর থেকে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু চব্বিশে নিজের কেন্দ্রে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। দিলীপের অনুগামীরা বলেন, সেই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। ঘটনাচক্রে মেদিনীপুর এবং দুর্গাপুর দুই আসনেই হারে বিজেপি। দিলীপ এদিন খোঁচা দিয়ে সে কথাও মনে করালেন।
একা দিলীপ নন, তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারও নির্বাচনে দাঁড়াতে চান। রিঙ্কুও এই মুহূর্তে দিলীপের সঙ্গে দিল্লিতে। তিনি বলছেন, “এখনও কিছু ভাবিনি এসব নিয়ে। যদি বলে, তখন ভাবব। তবে হারার জন্য কোথাও দাঁড়াব না। যদি বুঝি জেতার পরিস্থিতি আছে বা পারব, তবেই দাঁড়াব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.