Advertisement
Advertisement

আদর্শ আচরণ বিধি চালুর পরেও চেন্নাইয়ের কলেজে সভা, বিতর্কে রাহুল

বিধি ভেঙে কেন কলেজে রাহুল? উঠছে প্রশ্ন।

Rahul's program at Chennai college.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 15, 2019 7:49 pm
  • Updated:March 16, 2019 8:10 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ক্ষমতায় এলে দেশের ‘মুড’ পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, তার আগে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরেও তিনি কীভাবে একটি কলেজে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখলেন, তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। চেন্নাইয়ের স্টেলা ম্যারিস কলেজের আলোচনা সভায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে কীভাবে প্রধান অতিথি করা হল, তা জানতে চেয়ে রিজিওনাল জয়েন্ট ডিরেক্টরকে নোটিস পাঠিয়েছে ডিরেক্টরেট অফ কলেজিয়েট এডুকেশন।

Advertisement

গত বুধবার চেন্নাইয়ের স্টেলা ম্যারিস কলেজে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়েও মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। বলেছিলেন, তাঁর ভগ্নিপতি রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে তদন্তের সবরকম অধিকার রয়েছে সরকারের। একইসঙ্গে দাবি করেন, রাফালে চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত।

[চিনের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিক নয়াদিল্লি, মোদির কাছে দাবি গেরুয়াপন্থীদের]

তার আগে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক দুর্নীতি ও নীরব মোদি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখছিলেন রাহুল গান্ধী। তার মাঝেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। এর উত্তরে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “শুধু ওকে নিয়ে কেন, যে কারোর বিরুদ্ধেই তদন্ত করার অধিকার রয়েছে সরকারের। তবে সবার জন্যই আইন সমান হওয়া উচিত।”

[নজির গড়লেন আজিম প্রেমজি, সেবামূলক কাজে দান করলেন ৫২ হাজার কোটি টাকা]

পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার সময় লোকসভায় জিতে ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। দর্শকাসনে বসে থাকা পড়ুয়াদের কাছে জানতে চান, “আপনারা নোটবন্দির সিদ্ধান্তে খুশি ?” উত্তরে না বলে দর্শকরাও খুশি করে দেন তাঁকে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী মোদির নাম না করে কটাক্ষ করেন রাহুল। প্রশ্ন ছোঁড়েন, “এত সংখ্যক প্রশ্নকর্তার সামনে দাঁড়াতে পারবেন ?”

[প্রথম দফায় রাজ্যের দুই আসনে থাকবে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী]

কলেজে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার নামে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতা এই ধরনের রাজনৈতিক কথাবার্তা কী করে বলতে পারেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল। এবার তাতে ইন্ধন জোগাল রিজিওনাল জয়েন্ট ডিরেক্টরকে পাঠানো ডিরেক্টরেট অফ কলেজিয়েট এডুকেশন-এর নোটিস।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ