ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ভূতের মুখে রামনাম। তাও আবার খোদ বিধানসভায়। কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে অধিবেশন চলাকালীন বক্তব্য রাখতে উঠে বিধানসভায় শিবকুমার গেয়ে উঠলেন আরএসএস-এর প্রার্থনা সঙ্গীত। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কর্নাটকে শিব-সিদ্দা সংঘাতের মাঝেই শিবের গলায় এই সঙ্গীত স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি করেছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় যারপরনাই খুশি বিজেপি।
জানা যাচ্ছে, কর্নাটক বিধানসভায় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনা প্রসঙ্গেই নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অতীত নিয়ে কথা বলছিলেন শিবকুমার। সেই সময় বিধানসভায় বিরোধী দলের বিধায়ক অশোক তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন একটা সময় আরএসএসেও ছিল তিনি। অকপটে সে কথা স্বীকার করে নেন শিবকুমার। এরপরই বলেন, “হ্যাঁ আমি আরএসএসের সদস্য ছিলাম। এবং আরএসএসের প্রার্থনা সঙ্গীত এখনও আমার মনে রয়েছে।” এরপরই সেই সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে বিজেপি নেতারাও সেই সঙ্গীত গেয়ে ওঠেন। ডেস্ক বাজাতে শুরু করেন। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় জল্পনা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিদ্রোহ চরম আকার নিয়েছিল দক্ষিণের এই রাজ্যে। দাবি উঠেছিল সিদ্দারামাইয়াকে সরিয়ে শিবকুমারকে দেওয়া হোক এই পদ। পরে হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই ঘটনার সঙ্গে সেই সূত্র জুড়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন তবে কী জল মাপতে শুরু করেছেন শিবকুমার।
VIDEO | Karnataka Deputy CM DK Shivakumar () recited the RSS’ Sangha Prarthana, ‘Namaste Sada Vatsale Matribhume’, while addressing the Assembly yesterday.
(Source: Third party)
(Full VIDEO available on PTI Videos – )
— Press Trust of India (@PTI_News)
যদিও পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে জল্পনায় দাঁড়ি টেনে দিয়েছেন শিবকুমার নিজেই। তিনি বলেন, “আমি জন্মগত কংগ্রেসম্যান… আমি সকল রাজনৈতিক দলের উপর গবেষণা করেছি। আমি জানি আরএসএস কর্নাটকে কীভাবে প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে… তারা প্রতিটি জেলার সমস্ত স্কুল অধিগ্রহণ করছে। তারা শিশুদের কাছে তাদের প্রচার চালাচ্ছে। তবে একজন নেতা হিসেবে, আমার জানা উচিত কে আমার বিরোধী এবং কে আমার বন্ধু।” তিনি আরও বলেন, “আমি কেবল আরএসএস ও এদের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেছিলাম। রাজনৈতিকভাবে আমাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু বিজেপির জানা উচিৎ আমি একটা সময়ে তাদের অনেক গভীরে প্রবেশ করেছি।”
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট লালকেল্লার ভাষণ থেকে আরএসএস-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, চরিত্র গঠন ও দেশসেবায় আরএসএসের শত বছরের সেবার ইতিহাস রয়েছে। শাখার সদস্যরা মাতৃভূমির কল্যাণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও পিছুপা হন না। তবে মোদির সেই বক্তব্যের তীব্র নিন্দায় সরব হন শিবকুমার তিনি বলেন, সংঘের কোনও ইতিহাস নেই। এটা এক নয়া সংগঠন। এর চেয়ে কংগ্রেসের ইতিহাস বহু পুরনো। আরএসএসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জাতীয় পতাকার ধার মাড়ায়নি সংঘ। তবে তাঁর মুখে এবার আরএসএস-এর প্রার্থনা সঙ্গীত শুনে বিস্মিত কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.