Advertisement
Advertisement
Ahmedabad Plane Crash

ঘোষিত ২৭৫, দেহ শনাক্ত হল ২৬০ জনের, আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে ফের বিভ্রান্তি

ইতিমধ্যেই DNA টেস্টের পর শেষ দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

DNA Test Identifies Last Victim Of Ahmedabad Plane Crash
Published by: Gopi Krishna Samanta
  • Posted:June 28, 2025 8:04 pm
  • Updated:June 28, 2025 8:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি যেন কাটছে না। গত ২৪ জুন গুজরাট সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল এই দুর্ঘটনায় মোট ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘোষণার চারদিন পরে অর্থাৎ শনিবার সরকারে তরফে জানানো হল মোট ২৬০ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৫৪ জনের দেহ DNA টেস্ট করার পর নিশ্চিত করা হয়। বাকি ৬ জনের দেহ DNA টেস্ট ছাড়াই শনাক্ত হয়। যার মধ্যে শনিবার শেষ দেহটি শনাক্ত করার পর তা পরিবারের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে। আর এতেই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের সুপারেনটেনডেন্ট ডাঃ রাকেশ জোশি বলেন, “শেষ অজ্ঞাত দেহটির DNA টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। মৃতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। DNA টেস্টের পর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬০।”

একটি হস্টেলের ছাদে বিমানটি ভেঙে পড়ার পর হস্টেলে থাকা পড়ুয়া ও স্থানীয়দের অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়েছিল। বিমানটি বিস্ফোরণের ফলে একাধিক দেহ পুড়ে যাওয়ার সেই সংখ্যা নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য DNA টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার গুজরাট সরকারের তরফে জানানো হয়, মোট ২৭৫ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। তবে এখনও বেশকয়েকটি দেহ শনাক্ত করার জন্য DNA টেস্ট করা হচ্ছে। এদিকে মৃতের সংখ্যা নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি ছড়াতেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে সঠিক মৃতের সংখ্যার তথ্য পেতে বারবার বেগ পেতে হচ্ছিল। অবশেষে DNA টেস্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই টেস্টে ২৫৪ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে DNA টেস্ট ছাড়াই ৬টি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছিল। সবমিলিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের দেহ শনাক্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন, মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে এআই ১৭১ বিমানটি। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। প্রাণ বেঁচেছে উড়ানে থাকা মাত্র একজনের। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। কীভাবে এমন অভিশপ্ত ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে বিমান দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল গুজরাট সরকার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement