Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ahmedabad Plane Crash

অধরা লন্ডনে সংসারের স্বপ্ন, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সেলফি দেখে চোখে জল নেটপাড়ার

আহমেদাবাদের উড়ান দুর্ঘটনায় মৃত গোটা পরিবার। স্মৃতিবন্দি 'শেষ সেলফি'।

Doctor couple Komi Vyas's last selfie goes viral from Ahmedabad Plane Crash
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 13, 2025 10:23 am
  • Updated:June 13, 2025 10:29 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন সন্তান, স্বামী নিয়ে সুখের ঘরকন্না। দেশ থেকে ব্রিটেনে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করার স্বপ্ন দেখেছিলেন চিকিৎসক কোমি ব্যাস। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস! স্বামী-সন্তানকে নিয়ে গন্তব্য ছিল লন্ডন। কিন্তু লন্ডনগামী সেই বিমান আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কোমির সপরিবার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর আগেই সব শেষ। নিহত হলেন চিকিৎসক পরিবারের পাঁচ সদস্যই। শোকের ছায়া রাজস্থানের বাঁশওয়ারা শহরে।

চিকিৎসক কোমি ব্যাসের স্বামী প্রতীক যোশী বিগত ছয় বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন। তিনি পেশায় সফটওয়‍্যার ইঞ্জিনিয়র। প্রতীক দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী এবং তিন ছোট সন্তানকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। চাইছিলেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠুক সে দেশেই। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছিল। কিন্তু আহমেদাবাদের উড়ান দুর্ঘটনায় এক লহমার মধ্যে সব শেষ। আত্মীয়-স্বজনদের কাছে এখন তাঁদের ‘শেষ সেলফি’ই সম্বল।

জানা যায়, বহু বছরের কষ্ট, কাগজপত্রের ঝামেলা আর অপেক্ষার পরে অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছিল। মাত্র দুই দিন আগে কোমি ভারতের চাকরি ছেড়ে দেন। ব্যাগপত্তর গুছিয়ে ফেলেন। প্রিয়জনদের বিদায় জানিয়ে ব্রিটেনে নতুন জীবনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে, আনন্দ আর এক বুক আশা নিয়ে কোমি স্বামী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এ ওঠেন লন্ডনের উদ্দেশে। দু’ দিন আগেই স্ত্রীকে নিতে ভারতে এসেছিলেন প্রতীক। এদিন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরেও যান। এরপর তাঁরা সপরিবারে হাসিমুখে একটি সেলফি তুলে আত্মীয়দের পাঠান। সেই সঙ্গে ক্যাপশন জুড়ে দেন- ‘নতুন জীবনের শুরু।’ কিন্তু অভিশপ্ত বিমানের গেরোয় শেষমেশ লন্ডনে সংসার করার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল দম্পতির।

উড়ান শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মাঝ আকাশে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে পাঁচজনের কেউই বেঁচে নেই আর। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সব শেষ। একটা জীবনভর স্বপ্ন মুহূর্তেই ছাই হয়ে গেল। উদয়পুরের স্থানীয়রা শোকপ্রকাশ করে কোমি দম্পতিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলে দাবি করেছেন। তাঁদের মতে, উভয়ই উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের মৃত্যুর খবরে বাঁশওয়ারা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং প্রাক্তন সহকর্মীরা মারাত্মক ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের এক ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু বলেন, “কোমিদের জন্য গোটা শহর শোকাহত।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement