সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীদের দাবি মেনে নিল কেন্দ্র। করোনা সংক্রমণ রুখতে আন্তঃরাজ্য পরিষেবা বন্ধ করা হল। ২৪ মার্চ মাঝরাত থেকে দেশের ভিতরেও যাত্রীবাহী বিমান উড়বে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যবাহি বিমান পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
Operations of domestic scheduled commercial airlines shall cease with effect from midnight on March 24. The restrictions shall not apply to cargo flights.
Advertisement— ANI (@ANI)
করোনা রুখতে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা বন্ধ করার আরজি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লেখেন তিনি। চিঠিতে সমস্ত রকম বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার আরজি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও রবিবার দিল্লি বিমানবন্দরে আন্তঃরাজ্য বিমানের ওঠানামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছিলেন। কিন্ত তারপরই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেয়। ২২ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে পাড়ছে মৃত্যুও। সংক্রমণ রুখতে দেশের ৮০টি জেলায় লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই পরামর্শ মেনে পশ্চিমবঙ্গে সোমবার বিকেল চারটে থেকে লকডাউন হতে চলেছে। তার আগেই অবশ্য ট্রেন, আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু এখনও আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি। ফলে ভিনরাজ্যে কর্মরত অনেকেই বাড়ি ফিরছেন। আবার অন্য রাজ্যের আত্মীয়রাও ভয়ে এ রাজ্যে চলে আসছেন। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আর তাই আন্তর্জাতিক বিমানের পর আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা বন্ধ করার আবেদন জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠির বয়ান অনুযায়ী, “আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা বন্ধ না করায় লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটছে। রাজ্যগুলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা একান্ত অনুরোধ জানাচ্ছি্, দ্রুত পশ্চিমবঙ্গগামী সমস্ত বিমান বাতিল করতে নির্দেশিকা জারি করুন। তবেই সংক্রমণের সমস্ত উৎস বন্ধ করা সম্ভব হবে। আর অক্ষরে অক্ষরে লকডাউন পালন করা সম্ভব হবে।” শেষ পর্যন্ত সেই আবেদন মেনে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে। চিনের ইউহান প্রদেশে থেক গোটা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে। এমনকী কলকাতায় প্রথম সংক্রমিতও বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন। স্বভাবতই এরপর বিমান পরিষেবা বন্ধের উপর জোর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিমান পরিষেবা বন্ধের অধিকার একমাত্র কেন্দ্র সরকারেরই আছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.