সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কন্নড় ভাষা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রবল চাপে অভিনেতা কমল হাসান। কর্নাটক হাই কোর্টের রোষের মুখেও পড়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণী রাজ্যগুলিতে হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিনেতা। তিনি বলেন, “হিন্দি আগ্রাসন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
সম্প্রতি তাঁর নতুন ছবির প্রচারে গিয়ে কমল বলেন, “যে সমস্ত রাজ্যের প্রধান ভাষা হিন্দি নয়, সেখানে জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। শিক্ষার পথে বাধা দেওয়া উচিত নয়।” উল্লেখ্য, হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে একপ্রকার ভাষাযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। এবার সেই আসরে যোগ দিলেন কমলও। তিনি আরও বলেন, “তামিলনাড়ুতে ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে নিরক্ষর করে রাখার যড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, হিন্দি শেখা আবশ্যক। হিন্দি না জানলে আপনি চাকরি পাবেন না। এগুলি চলতে পারে না। আমি পাঞ্জাব, কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো অহিন্দি রাজ্যগুলিরও পাশে আছি।”
সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি ছবির প্রচারে গিয়ে অভিনেতা দাবি করেন, কন্নড় ভাষার উৎপত্তি তামিল ভাষা থেকে। তাঁর এই মন্তব্যের পরই দক্ষিণী রাজ্যে ক্ষোভ এবং বিতর্কের সৃষ্টি হয়।কন্নড়পন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা অভিনেতাকে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে সরাসরি ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা আর অশোকা বলেন, “কমল একজন মানসিক রোগী। আমি সরকারকে অনুরোধ করব যে কর্নাটকে তাঁর সমস্ত ছবি বয়কট করা হোক। না হলে তিনি মানসিক রোগীর মতোই আচরণ করতে থাকবেন।” কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, “কন্নড় ভাষার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এটি দুর্ভাগ্যের যে কমল তা জানেন না।।”
ক্রমে প্রতিবাদ আরও জোরালো হলে মুখ খোলেন কমল। কিন্তু ক্ষমা চাওয়াতো দূর, উলটে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অভিনেতা বলেন, “গভীর ভালোবাসা থেকে বলা কথার জন্য আমি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত নই। অমি মনে করি, রাজনীতিবিদরা ভাষা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার যোগ্য নন। এর মধ্যে আমিও পড়ি। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যখ্যা করা হয়েছে।” তাঁর এই বক্তব্যের পরই কন্নড়ভূমে প্রতিবাদের আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.