সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনেতা করুণানিধির মূর্তি বসানো ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে তোপের মুখে স্ট্যালিন সরকার। কড়া সুরে ডিএমকে সরকারকে আদালতের প্রশ্ন, ‘একজন প্রাক্তন নেতাকে মহিমান্বিত করার জন্য সরকারি অর্থ ব্যয় করার কী প্রয়োজন?’ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘এই ধরনের ঘটনায় জনগণের অর্থ ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।’
করুণানিধির মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তামিলনাড়ুর সরকার। সোমবার এই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ‘সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকদের সমস্তরকম নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। একজন প্রাক্তন নেতাকে মহিমান্বিত করতে এই ধরনের এই ধরনের মূর্তি প্রতিষ্ঠার কোনও প্রয়োজন নেই।’ শুধু তাই নয় আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘সর্বজনীন স্থানে মূর্তি প্রতিষ্ঠা না করার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে, ফলে রাজ্য সরকারকে এই ধরনের অনুমতি শীর্ষ আদালত দিতে পারে না।’
শীর্ষ আদালতে দায়ের করা এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ু সরকারকে। এবং মাদ্রাজ হাই কোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলায় মাদ্রাজ হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সরকার এভাবে জনতার টাকায় মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। যার পালটা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল স্ট্যালিন সরকার। সেখানেও অবশ্য ধাক্কা খেল তারা।
উল্লেখ্য, তামিল রাজনীতিতে দিগ্বজ নেতা হিসেবে পরিচিত করুণানিধি। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে তিরুচিরাপল্লির কুলিথালাই আসন থেকে জিতে প্রথম বিধায়ক হন তিনি। দ্রাবিড় আন্দোলন, তামিলভাষীদের অধিকারের পক্ষে দীর্ঘ লড়াই করেছেন তিনি। ৫ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন করুণানিধি। ২০১৮ সালে তাঁর মৃত্যু হলেও তামিল আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে করুণানিধির নাম। ২০২৬ সালে এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে করুণানিধির আবেগকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে স্ট্যালিন সরকার। তবে দিগ্বজ এই নেতার মূর্তি নিয়ে আদালতে জোর ধাক্কা খেল ডিএমকে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.