Advertisement
Advertisement
Subhas Chandra Bose

‘অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়, ক্ষমা চাইতে হবে’, কেরলের পাঠ্যবইয়ে নেতাজির অপমান নিয়ে সিপিএমকে তোপ তৃণমূলের

দেশনায়কের অপমানে ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Draft textbook in Kerala says Subhas Chandra Bose ‘fled to Germany', TMC questions CPIM
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 19, 2025 6:02 pm
  • Updated:August 19, 2025 7:28 pm   

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: খসড়া স্কুল পাঠ্যবইয়ে নেতাজির দেশত্যাগকে ‘ব্রিটিশদের ভয়ে পালানো’ বলে উল্লেখ! ফের ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বামশাসিত কেরলে। দেশনায়কের অপমানে ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এটা সিপিএমের বাঙালি বিরোধী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। দেশনায়ক নেতাজির অপমানের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বাম নেতৃত্বকে।

Advertisement

আসলে কেরলের একটি খসড়া স্কুল পাঠ্যবইয়ে দাবি করা হয়েছিল, ‘ব্রিটিশদের ভয়ে’ নেতাজি নাকি জার্মানিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ওই অংশে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ ঘটেছে এবং তা সংশোধন করা হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষকদের জন্য তৈরি করা একটি হ্যান্ডবুকে এই বিতর্কিত বক্তব্য প্রকাশিত হয়, যা তৈরি করেছিল রাজ্যের স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি)। পরবর্তীতে শিক্ষা দপ্তর তা সংশোধন করে এবং পাঠ্যবই কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের ভবিষ্যতে কোনও অ্যাকাডেমিক প্রক্রিয়া থেকে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

ওই অংশে যে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ হয়েছে সেটা মেনেও নিয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুটি দাবি করেছেন, “বিষয়টি নজরে আসার পরেই সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে ছাপা বইয়ে শুধুমাত্র সঠিক ঐতিহাসিক তথ্য থাকে। কেরল সরকার কখনওই কেন্দ্রীয় সরকারের মতো ইতিহাস বিকৃত করার অবস্থান নেয় না। তাই এসসিইআরটি-কে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই কমিটির সদস্যদের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে।” কিন্তু তাতে বিতর্ক থামছে না। তৃণমূলের দাবি, ওই ভুল অনিচ্ছাকৃত নয়। বরং ‘সর্বজ্ঞানী’ সিপিএম নেতৃত্বের বাঙালি বিরোধী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নেতাজির যে মহানিস্ক্রমণ, মহম্মদ জিয়াউদ্দিন নামের বিমার এজেন্ট সেজে দেশত্যাগ এবং তারপর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশে আজাদ হিন্দ বাহিনী নিয়ে লড়াই, সে ইতিহাস আমরা সকলেই জানি। সিপিআইএম এগুলো জানে কি জানে না, বা জেনেও জানতে চাই কিনা বলতে পারব না।” ঋতব্রতর তোপ, “আমি শুধু এটুকু জানি, এসব এসব অনিচ্ছাকৃত ভুলটুল নয়। সিপিআইএমের নেতৃত্ব বাঙালি আইকনকে সহ্য করতে পারে না। সিপিআইএম বাঙালি বিরোধী একটা শক্তি। এই যে ঘটনা ঘটেছে, সিপিআইএমের বাঙালি বিরোধী মনোভাবের জন্য দেশনায়ক সুভাষচন্দ্রকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তাতে সিপিএম নেতৃত্বের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ