সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো সবসময় আবেগের! তা সে বাংলায় থাকুন কিংবা প্রবাসে। আর তাই পুজোর চারটে দিন পৃথিবীর যে যে কোনও প্রান্তেই, পুজো মুডে গা ভাসান আট থেকে আশি। ঠিক যেমন মহারাষ্ট্রের থানের মাজিওয়ারা অঞ্চলের বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্র মানেই গণেশ পুজোর ধুমধাম। তাতে কী! দুর্গাপুজোতেও কোনও অংশেই কম যান না প্রবাসীরা। চারদিনের জন্য মাসখানেক আগে থেকে থেকেই শুরু হয়ে যায় পরিকল্পনা। এর সঙ্গে তো আছেই রীতি মেনে পুজো, সঙ্গে ভূরিভোজ। প্রবাসের মাটিতে বাঙালি আমেজকে তুলে ধরতে প্রত্যেক দিনই থাকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মহারাষ্ট্রের থানের মাজিওয়ারা অঞ্চলের Bongs of Urbania Cultural Foundation (BOUCF)-এর দুর্গাপুজো এবার সপ্তম বছরে পড়ল। তবে শুধু বাঙালিরাই নয়, অবাঙালিরাও থানের এই পুজোয় অংশ নেন। পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, সারা বছরের কর্মব্যস্ততা ভুলে চারটে দিন শুধুই পুজো। শুধু তাই নয়, পুজোর দিনগুলিতে BOUCF-এর পুজো প্রাঙ্গন হয়ে ওঠে বাঙালি এবং অবাঙালিদের মেলবন্ধনের ক্ষেত্র। পুজোর কর্মকর্তাদের কথায়, পুজোর সময় এখানকার বাঙালিদের সঙ্গে অবাঙালীদের সমান উৎসাহ থাকে। ফলে চারটে দিন পুজো প্রাঙ্গনে তৈরি হয় এক সম্প্রীতির আবহ।
রীতিনীতিতে কোথাও কিছু বাদ পড়ে না! মায়ের বোধন থেকে অঞ্জলি, সন্ধিপুজো, কুমারীপুজো সব আচার মেনেই অনুষ্ঠিত হয় পুজো। এর সঙ্গেই রয়েছে দশমীর সিঁদুর খেলা। মা ফিরবেন কৈলাসে! মনখারাপের দিন বাঙালির। কিন্তু সিঁদুর খেলা মিস করেন না Bongs of Urbania Cultural Foundation -এ আসা মহিলারা। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যাতেই থাকবে নাচ, গান, নাটক, কুইজ, ধুনুচি নাচ। একেবারে জমজমাট মহারাষ্ট্রের থানের মাজিওয়ারা অঞ্চলের পুজো। এখানেই শেষ নয়, ভূরিভোজ ছাড়া তো আর পুজো জমে না। তাই যেমন প্রত্যেকদিন থাকে ভোগের আয়োজন তেমনই থাকে নানারকমের খাবারের স্টল। যেখানে বিভিন্ন বাঙালি খাবার পাওয়া যায়।
আনন্দযজ্ঞে থেকে যায় কিছু দায়িত্ব কর্তব্য! তাই পুজোর দিনগুলিতে BOUCF এর সদস্যদের উদ্যোগে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করা হয়। উদ্যোক্তাদের কথায়, সদস্যদের নিজস্ব উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসব প্রবাসে এনে দেয় সেই চেনা ঘরোয়া আবহ ও বাঙালিয়ানার আসল স্বাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.