সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক রাজকীয় পরিবেশ। সেই ঐতিহ্য। সেই ঐশ্বর্য। এক ভুলে যাওয়া সময়ের দলিল যেন পড়ে আছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। এবার সেটাই ফুটে উঠতে চলেছে দিল্লির দুর্গাপুজো সমিতি চিত্তরঞ্জন দুর্গা উৎসবে। ষোড়শ শতাব্দীর এই প্রাসাদটি বহু ইতিহাসের সাক্ষী। একদিকে রাজকীয় অতীত, অন্যদিকে আধ্যাত্মিক ভক্তির চিরন্তন সাক্ষী মহিষাদল রাজবাড়ি। এই বাড়িকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ইতিহাস। তৎকালীন রাজা-রানির হাতে শুরু দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2025) ঘিরে জনসমাগম ঘটত সেখানে। যদিও সময়ের সঙ্গে রাজবাড়িতে এসেছে বদল! এখন আর রাজার শাসন নেই।
কিন্তু এখনও আছে শঙ্খ, ঢাকের বোল এবং রাজকীয় আচার-অনুষ্ঠানের প্রতিধ্বনি। এবার সেই একটুকরো মহিষাদল রাজবাড়ি ফুটে উঠবে দুর্গাপুজো সমিতি চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজোয়। ভিনরাজ্যের বাঙালিদের কাছে এই পুজো আবেগের। শুধু বাঙালি নয়, এই পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সমন্বয় ঘটে।
পুজোর পাশাপাশি প্রত্যেকদিনই চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে তো রয়েছেই পেটপুজো! খাওয়া দাওয়া ছাড়া কি আর চারটে দিন জমে। এবার এই পুজো ৫০তম বছরে পড়ল। ফলে চমক তো থাকবেই! আর সেই কারণেই এবার মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়িকে রাজধানীতে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত পুজো উদ্যোক্তাদের।
জানা যাচ্ছে, চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজোতে (Durga Puja 2025) এবার দর্শকরা রাজবাড়ি দেখার সাক্ষী থাকবেন তেমনই খোদাই করা খিলান, প্রাচীন ঝাড়বাতি, পোড়ামাটির দেওয়াল দেখা যাবে। পাশাপাশি মায়ের মূর্তিতেও চমক থাকবে বলে দাবি উদ্যোক্তারদের। মায়ের সাজে থাকবে রাজকীয় ছোঁয়া। এরসঙ্গে ধ্রুপদী ডাকের সাজ ফুটে উঠবে।
উদোক্তাদের দাবি, যেভাবে এই প্যান্ডেলকে তৈরি করা হচ্ছে, এবং যে নকশা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে তা দর্শকদের কিছুক্ষণের জন্যে হলেও সরাসরি রাজযুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়াও বাংলার গান থেকে শুরু করে প্রত্যেকদিন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো রয়েছেই। যা পুজোর চারটে দিনকে আরও মধুময় করে তুলবে বলেই দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.