Advertisement
Advertisement
AAP MLA

ইডির হাতে গ্রেপ্তার আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহ, ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে কেজরির দল

আপ বিধায়কের দাবি, তাঁকে গ্রেপ্তার করতেই এই অভিযান ইডির।

AAP MLA Amanatullah Khan arrested
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 2, 2024 9:25 am
  • Updated:September 2, 2024 2:13 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খান। সোমবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ইডি। প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। ইডির অভিযোগ, প্রায় ১০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন ওই আপ নেতা। যদিও এই ঘটনাকে বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে আপ।

Advertisement

ইডি অভিযান শুরু হওয়ার পর সোমবার সকালে এক ভিডিও বার্তা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বিধায়ক আমানাতুল্লাহ। যেখানে দাবি করেন, মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। সম্ভবত আজই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। তিনি আরও জানান, তাঁর শ্বাশুড়ি ক্যানসারে আক্রান্ত, দিনচারেক আগে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে, যার জেরে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এরই মাঝে ইডি আধিকারিকরা তাঁকে নোটিস দেন। যার জবাবও তিনি দিয়েছেন। তবে একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, তাঁকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় তবে বাকিদের মতো তিনিও বেরিয়ে আসবেন বলে আশা রাখেন।

[আরও পড়ুন: স্বস্তিকাদের ধরনামঞ্চে মত্ত যুবকের তাণ্ডব, শ্লীলতাহানির চেষ্টা! প্রবল উত্তেজনা ধর্মতলায়]

এদিকে ইডির এই অভিযান প্রসঙ্গে সূত্রের খবর, এর আগে একাধিকবার আমানাতুল্লাহকে জেরার জন্য তলব করেছিলেন আধিকারিকরা। তবে প্রতিবার চিঠি পাঠিয়ে হাজিরা এড়াচ্ছিলেন তিনি। যার জেরেই সোমবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতায় করতে রাজি না হয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল থেকে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি ইডির সঙ্গে অসহযোগিতা করেন বলে সংস্থার অভিযোগ। এদিকে এই অভিযান বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে তোপ দেগেছে আম আদমি পার্টি।

[আরও পড়ুন: ‘ভুল বললে শুধরে দেবেন’, আর জি করে মৃত চিকিৎসকের বাবাকে ফোন কুণালের]

ইডির এই অভিযানের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তিনি লেখেন, ‘শাসকদলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেই এজেন্সি দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে। ইডির এখন একটাই কাজ বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ তুললে তাঁর কণ্ঠকে দমন করা। যে তাঁদের সামনে মাথা নত করে না তাঁকে গ্রেপ্তার করে এভাবেই জেলে পাঠানো হয়।’ পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং দাবি করেন, ইডি-র কাছে খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। আসলে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘স্বৈরাচার’ এবং ইডির ‘গুণ্ডামি’ অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ