Advertisement
Advertisement

Breaking News

Election Commission

‘শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য দরকার বিশুদ্ধ ভোটার তালিকা’, নিবিড় সংশোধনে অনড় কমিশন

কমিশন মানুষের পাশে, বিরোধী অভিযোগ উড়িয়ে দাবি জ্ঞানেশ কুমারের।

Election Commission defends Bihar electoral roll clean-up

দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার। নিজস্ব চিত্র

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 10, 2025 11:22 am
  • Updated:July 10, 2025 11:22 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী নিয়ে বিরোধী আপত্তিকে পাত্তাই দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বুধবারও তালিকায় সংশোধনীর পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন। তাঁর দাবি, যে কোনও দেশে সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য ‘বিশুদ্ধ’ ভোটার তালিকা প্রয়োজন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ প্রয়োজন ভোটার তালিকার শুদ্ধতার জন্যই।

Advertisement

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। বিহারের পরে এক এক করে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে।

তালিকাভুক্ত ভোটার বা নতুন আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনের সময় বুথ স্তরের অফিসাররা একটি ফর্ম দেবেন। সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকত্বের সেলফ অ্যাটেস্টেট ঘোষণাপত্রও জমা দিতে হবে। সমস্যা হল কমিশন যে নথিগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে চাইছে সেই নথিগুলি জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে মোট ১১টি নথির তালিকা দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ১১টি নথির তালিকায় রয়েছে- সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র, ১ জুলাই ১৯৮৭-র আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি, জন্ম সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট, বনপালের সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, এনআরসি অন্তর্ভুক্তি, পারিবারিক রেজিস্টার এবং জমির দলিল। কিন্তু অনেক ভোটারের কাছে এই ১১ নথির কোনওটিই নেই। সেইসব ভোটারদের আবার অধিকাংশই প্রান্তিক, দরিদ্র। তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এই অবস্থায় বহু ভোটার আশঙ্কায়।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, এসব আশঙ্কা উড়িয়েই ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনে’ ব্যাপক সাড়া মিলেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলছেন, “বিহারের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোটার তালিকার সংশোধনে অংশ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৫৭ শতাংশ ফর্ম বিলি সম্পন্ন। আরও ১৬ দিন সময় বাকি।” তাঁর বক্তব্য, “বিশুদ্ধ ভোটার তালিকা যে কোনও দেশের গণতন্ত্রের প্রয়োজন। আর নির্বাচন কমিশন সবসময় ভোটারদের পাশে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement