Advertisement
Advertisement
Election Commission

‘ভোটচুরির মতো আপত্তিকর শব্দে সংবিধানের অপমান’, নাম না করে রাহুলকে তুলোধোনা কমিশনের

রাহুলকে তোপ, কিন্তু তাঁর অভিযোগের স্পষ্ট জবাব দিল না নির্বাচন কমিশন।

Election Commission Targets Rahul Gandhi over Vote chori Jibe
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 17, 2025 3:57 pm
  • Updated:August 17, 2025 5:48 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভোটচুরি’র মতো আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে নাম না করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা নির্বাচন কমিশনের। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার রাহুলকে নিশানা করে বললেন, “কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জনগণকে নিশানা করে রাজনীতি চলছে। সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে মিথ্যাকে সত্যি করা যাবে না। কারও মিথ্যা অভিযোগে নির্বাচন কমিশন ভয় পায় না।”

Advertisement

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সাফ কথা, ‘ভোটচুরি’র মতো আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটা সংবিধানের অপমান ছাড়া আর কিছু নয়। এই ধরনের এত নিখুঁত প্রক্রিয়ার পরও এত ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য কী বোঝাই যাচ্ছে।” জ্ঞানেশ কুমারের দাবি, “নির্বাচন কমিশনের চোখে সবাই সমান। কোনও দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না কমিশন।”

জ্ঞানেশ কুমারের দাবি, রাহুল গান্ধী যে সব অভিযোগ করছেন সেগুলির কোনও প্রমাণ তিনি পেশ করেননি। সাংবিধানিক শপথের মাধ্যমেও নিজের বক্তব্য তিনি জানাননি। রাহুল ভোটার তালিকার ত্রুটি নিয়ে যে অভিযোগগুলি তুলেছিলেন সেটার পালটা নির্বাচন কমিশনারের জবাব, ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ার শুরুতেই বুথস্তরে সব রাজনৈতিক দলকে খসড়া দেওয়া হয়। সেই তালিকায় সংশোধন, সংযোজন এবং বিয়োজন সংক্রান্ত অভিযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয় সব রাজনৈতিক দলকে। তাঁদের সব অভিযোগ শোনার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকা প্রকাশের পরও অভিযোগ করার সুযোগ থাকে সব রাজনৈতিক দলের কাছে। তারপর সেই ভোটার লিস্ট অনুযায়ী ভোট হয়। ভোটের ফলপ্রকাশের পরও ৪৫ দিন পর্যন্ত সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকে। ভোটের পর ৪৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন সুযোগ ছিল নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করার। জ্ঞানেশ কুমারের বক্তব্য, এখন বলা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে ভোটচুরি হয়েছে। এতদিন কেন কেউ অভিযোগ করেনি? তাঁর সাফ কথা, “এখন রাজনীতির স্বার্থে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”

এখানেই শেষ নয়, রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠকে যে সব ভোটারদের ছবি দেখিয়েছেন, ভিডিও দেখিয়েছেন, সেটাও আপত্তিকর বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অনুমতি ব্যাতীত কোনও ভোটারের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করা গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করার শামিল। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই সেটা বলা আছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাহুল যে যে অভিযোগ করেছেন সেই অভিযোগগুলির একটিরও স্পষ্ট জবাব এদিন নির্বাচন কমিশন দেয়নি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ