Advertisement
Advertisement

Breaking News

Engineer Rashid

রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে তিহাড়ে বন্দি সাংসদই এখন সংসদের আইন শৃঙ্খলার স্থায়ী কমিটির সদস্য

রাষ্ট্রদ্রোহ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসে অর্থসাহায্য-ইত্যাদি নানা অভিযোগে ২০১৯ সাল থেকে জেলে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ।

Engineer Rashid is now a member of parliament pannel
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 24, 2025 2:48 pm
  • Updated:February 24, 2025 6:53 pm  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে তিনি জেলবন্দি। তিহার জেলে বসেই হয়েছেন সাংসদ। জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা কেন্দ্রের সাংসদ শেখ আবদুল রশিদ, ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ। অথচ সেই রশিদও সংসদের কোনও স্থায়ী কমিটির সদস্য, জানেন? শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। লোকসভা নির্বাচনে হেভিওয়েট ওমর আবদুল্লাকে হারিয়ে দেওয়া ‘ইঞ্জিনিয়ার সাহাব’ সংসদের কর্মী, জনগণের অভিযোগ এবং আইন ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য।

Advertisement

রাষ্ট্রদ্রোহ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসে অর্থসাহায্য-ইত্যাদি নানা অভিযোগে ২০১৯ সালে রশিদকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। সেই থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ত দপ্তরের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারের ঠিকানা দিল্লির তিহার জেল। গত বছর হওয়া লোকসভা নির্বাচনে দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন রশিদ। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে লাঙ্গেট কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। যদিও ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে অংশ নিলেও জিততে পারেননি রশিদ। এবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মেই সংসদের কোনও না কোনও স্থায়ী কমিটিতে সদস্যপদ পেতেন তিনি। তবে রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্তকে কেন হঠাৎ আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ দেওয়া হল, উঠছে সেই প্রশ্ন।

সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আবেদন করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রশিদ। তাঁর আবেদন মঞ্জুরও করে আদালত। অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বিচারবিভাগীয় প্যারোল দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বারণ রয়েছে রশিদের। তাছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেও এখনও সাংসদদের আরেক প্রাপ্য, দিল্লিতে কোনও বাসস্থান পাননি রশিদ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement