Advertisement
Advertisement
Digital Arrest

৪৭ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট! প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্তার ২৩ কোটি টাকা হাতাল জালিয়াতরা

প্রতারকদের ১৬টি অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় ওই টাকা পাঠানো হয়।

Ex-banker duped of Rs 23 crore, held in digital arrest for 47 days in his Delhi home

প্রতীকী ছবি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 23, 2025 12:13 pm
  • Updated:September 23, 2025 12:34 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশব্যাপী প্রচার। খোদ প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তার পরও ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে জালিয়াতিতে লাগাম টানা যাচ্ছে না। এবার প্রতারণার শিকার প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্তা। ৭৮ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধকে ৪৭ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে ২৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা। সর্বস্ব খুইয়ে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ।

Advertisement

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতারিত ওই বৃদ্ধের নাম নরেশ মালহোত্রা। প্রাক্তন ওই ব্যাঙ্ককর্তা দক্ষিণ দিল্লির গুলমোহর পার্কের বাসিন্দা। গত ১ আগস্ট টেলিকম সংস্থা এয়ারটেলের নাম করে একজন মহিলা নরেশকে ফোন করেন। জানান, তাঁর ল্যান্ডলাইন নম্বর একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত। দাবি করা হয়, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ১৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। পুলওয়ামা সন্ত্রাসে সেই টাকা ব্যবহারের যোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রতারকদের তরফে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইকে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এরপর মুম্বই পুলিশের নাম করে এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিও কল করে। ওই বৃদ্ধের সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে চায় তারা। নরেশের আর্থিক ও ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য হাতিয়ে ডিজিটালি চার্জশিট ও প্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়।

বৃদ্ধের বয়ান অনুযায়ী, প্রতারকরা তাঁকে জানান, আগামী ৬ মাস তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে তিনি যেন কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করেন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর আবার তাঁর কাছে ফোন আসে এবার বলা হয় বৃদ্ধের জামিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য তাঁর কাছে ১২.৮৪ কোটি টাকা দাবি করা হয়। প্রতারকদের একাধিক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠান বৃদ্ধ। এর পর নানা অছিলায় ১৬টি অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় ২২.৯২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ৪ সেপ্টেম্বর ইডির নাম করে একজন নরেশকে ফোন করেন, এবং জানান তাঁর মামলা ইডির কাছে পাঠান হয়েছে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ পাঠানো হয় তাঁকে। এবং জানানো হয়, যে টাকা তিনি পাঠিয়েছেন তা উদ্ধার করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ৫ কোটি টাকা জমা করতে হবে।

এই অবস্থায় ওই ৫ কোটি টাকা জমার নথি নিয়ে তিনি শীর্ষ আদালতে যাবেন বলে জানান প্রতারকদের। একইসঙ্গে বলেন, তিনি শীর্ষ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চান। তখনই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। কার্যত সর্বস্ব খুইয়ে অবশেষে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ