Advertisement
Advertisement
FATA

‘AMAZON’ থেকে কেনা হয় পুলওয়ামা হামলার বিস্ফোরক! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০২২ সালে গোরক্ষপুর মন্দিরে জঙ্গি হামলার ঘটনাতেও অ্যামাজন যোগ!

Explosive for Pulwama attack bought via e-commerce platform, FATA report
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 9, 2025 9:16 am
  • Updated:July 9, 2025 9:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হোক বা ২০২২ সালে গোরক্ষপুর মন্দিরে জঙ্গি হামলা। ভারতের মাটিতে হওয়া একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় জঙ্গিরা বিস্ফোরক কিনেছিল ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন (AMAZON) থেকে। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনল আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএ।

Advertisement

এফএটিএ’র রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘ভারতের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। তদন্তে জানা গিয়েছে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতে প্রচুর পরিমাণ আইইডি বিস্ফোরক পাচার করা হয়েছিল। এই বোমাকে আরও মারাত্মক করে তোলে অ্যালুমিনিয়াম পাউডার। জঙ্গিরা সেই পাউডার কিনেছিল ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন থেকে।’ শুধু তাই নয়, গোরক্ষপুরের মন্দিরে জঙ্গি হামলাতেও ব্যবহৃত বিস্ফোরক কেনা হয়েছিল এই ই-কমার্স সাইট থেকে। সংস্থার দাবি, নিজেদের নাম, ঠিকানা লুকিয়ে অনলাইনে অর্ডার করার জন্য জঙ্গিরা ভিপিএন ব্যবহার করেছিল। এখানে পেমেন্ট করা হয়েছিল PAYPL-এর মাধ্যমে। এই পেমেন্ট মোডে বিদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো হয় প্রায় ৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।

তদন্তে দাবি করা হয়েছে, ভিপিএন পরিষেবা কিনতে মোট ৪৪টি আন্তর্জাতিক লেনদেন করা হয়। বিদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে এই সন্দেহজনক লেনদেনের জেরে PAYPL অ্যাকাউন্ট স্থগিতও করা হয়। ওই রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, কিছু দেশের সরকার আর্থিকভাবে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবং বাণিজ্যিকভাবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে মদত যুগিয়ে চলেছে। যেমন, কোনও দেশ থেকে তেল পাঠানো হচ্ছে, তা অন্য এক দেশে গিয়ে সোনায় রূপান্তরিত হচ্ছে, আর একটি দেশে গিয়ে তা নগদে পালটে যাচ্ছে। এরপর তা চলে যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনের কাছে।

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এফএটিএ জানিয়েছে, চিন্তার বিষয় হল এখন জঙ্গি সংগঠনগুলি আর আগের মতো কাজ করে না। তাদের পন্থা বদলে গিয়েছে। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে এরা নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছে। যেমন, আগে আল কায়েদা তাদের সমস্ত সিদ্ধান্ত একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ‘মজলিস আল-শুরা’র মাধ্যমে নিত, কিন্তু এখন তারা বিভিন্ন অঞ্চলের দলগুলিকে দায়িত্ব দিয়েছে। ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য কাজ করা তাদের এই দলকে ‘আল কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ (AQIS) বলা হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement