Advertisement
Advertisement

প্র্যাঙ্ক রিলের হুজুগ, মজার ছলে ঘুমন্ত বন্ধুদের চোখে আঠা যুবকের! তারপর…

পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ জেলা প্রশাসনের।

Eyes Sealed With Glue, 8 Children In Hospital because of prank in Odisha

ফাইল ছবি।

Published by: Kousik Sinha
  • Posted:September 14, 2025 5:50 pm
  • Updated:September 14, 2025 5:50 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে! আর সেজন্যে বিভিন্ন ধরনের পন্থার সাহায্য নিচ্ছেন অনেকেই। তা বলে বন্ধুদের চোখে আঠা। তাও আবার কি না ঘুমন্ত অবস্থায়। গুরুতর অবস্থায় আট স্কুল ছাত্রকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার একটি হোস্টেলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই জেলা প্রশাসনও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, প্র্যাঙ্ক করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাল হওয়ার নেশাতেই এত বড় ঘটনা! 

Advertisement

ওড়িশার কন্ধমাল জেলার সালাগুড়ার সেবাশ্রম স্কুলের ঘটনা। সর্বভারতীয় খবর অনুযায়ী, রাতে হোস্টেলে ক্লাস থ্রি, ফোর এবং ক্লাস ফাইভের আটজন পড়ুয়া ঘুমাচ্ছিল। সেই সময় তাঁদেরও এক বন্ধু বন্ধ চোখের উপর ইনস্ট্যান্ট গ্লু ঢেলে দেয়। এরপরেই শুরু হয় প্রচণ্ড যন্ত্রণা এবং জ্বালা। আর তা সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করতে শুরু করে ছাত্ররা। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা দেখেন, ওই আট পড়ুয়ার চোখ একেবারে আঠায় আটকে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই আট পড়ুয়াকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

যদিও পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় আরও একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই পড়ুয়াকে। ইতিমধ্যে ঘটনার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অসহ্য যন্ত্রণায় কাঁদছে পড়ুয়ারা। গ্লুতে আটকে চোখ। আর সেই ভিডিও সামনে আসতেই একেবারে শিউরে উঠছেন আমজনতা। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসকরা গ্লুতে বন্ধ হয়ে যাওয়া চোখকে খোলার চেষ্টা করছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে চিকিৎসক জানিয়েছেন, আঠালো পদার্থের কারণে চোখের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। তবে সময়মতো চিকিৎসা হওয়ায় শিশুদের দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা কম। ঘটনার পর একজন ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হলে বাকি সাতজনকে কড়া পর্যবেক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা রেখেছেন বলে খবর।

অন্যদিকে ঘটনার পরেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে জেলা প্রশাসন। গাফিলতির অভিযোগে এহেন পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি কীভাবে এই ঘটনা তা জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকরাও ঘটনার পর হাসপাতালে ছুটে যান। কীভাবে এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করেন। ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্কে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। হোস্টেল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ