Advertisement
Advertisement
Jagdeep Dhankhar

পাঁচবার লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম! ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করল সরকার?

বিরোধী শিবিরের দাবি, লাগাতার যেভাবে ধনকড় নিজের মর্জিমতো কাজ করে যাচ্ছিলেন সেটা না পসন্দ ছিল মোদি-শাহদের।

Farmers protest to Justice Varma case, when Jagdeep Dhankhar crossed 'Lakshman Rekha'

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 23, 2025 5:45 pm
  • Updated:July 23, 2025 5:45 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতে তিনি মোদি-শাহের অনুগত হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন বিজেপি নেতৃত্বের আনুগত্যের পুরস্কারস্বরূপই উপরাষ্ট্রপতির পদপ্রাপ্তি। সমস্যা হল, উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর একাধিক ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনচেতা’ হয়ে গিয়েছিলেন ধনকড়। সম্ভবত সে কারণেই তাঁকে তড়িঘড়ি ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হল। অন্তত বিরোধীদের তেমনটাই দাবি।

Advertisement

সূত্র বলছে, অন্তত পাঁচবার সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে ফেলেছেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্ষোভ জমা হচ্ছিল কেন্দ্রের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্দরে। সেই ক্ষোভ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে সোমবারের একটি ঘটনায়।

কোন পাঁচ ক্ষেত্রে লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম?

সরকারি সূত্র বলছে, ধনকড় সরকারের বিরুদ্ধে প্রথমবার যান আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার সাসপেনশন ইস্যুতে। রাঘবকে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু ১১৪ দিন বাদে সরকারকে অন্ধকারে রেখেই আপ সাংসদের সাসপেনশন তুলে নেন ধনকড়। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ১১৪ দিনে রাঘবের যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে। তাতে সরকার ক্ষুব্ধ হয়।

রাঘব চাড্ডার প্রতি ‘স্নেহ’ ধনকড়কে আবারও সরকারের বিরাগভাজন করেছে তাঁকে। এবার বাংলো বরাদ্দ নিয়ে। সূত্রের দাবি, রাঘব চাড্ডাকে রাজ্যসভা সাংসদ হওয়ার জন্য এমন একটি সরকারি বাংলো দেওয়া হয়েছে যা কিনা প্রথম বারের সাংসদের পাওয়ার কথা নয়। ওই বাংলো সিনিয়র সাংসদদের পাওয়ার কথা। কিন্তু ধনকড়ের ইশারাতেই সেটা দেওয়া হয় রাঘবকে। তাতেও ক্ষুব্ধ হয় শাসকদলের একাংশ।

কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে ধনকড়ের অবস্থানেও কেন্দ্রের একাংশে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়। তিনি প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তোলেন, “কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কেন পূরণ হল না?” তাতে নাকি কেন্দ্রের একাধিক প্রথম সারির নেতা মন্ত্রী প্রচণ্ডরকম ক্ষুব্ধ হয়।

মঙ্গলবার দুটি কাণ্ড ঘটান ধনকড়। এক বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে অপসারণের প্রস্তাব গ্রহণ। দুই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সরকার পক্ষের কোনও নেতার আগে বলার সুযোগ দেওয়া। তাতে পুঞ্জীভূত ওই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।

বিরোধী শিবিরের দাবি, লাগাতার যেভাবে ধনকড় নিজের মর্জিমতো কাজ করে যাচ্ছিলেন সেটা না পসন্দ ছিল মোদি-শাহদের। সেকারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে বাধ্য হয় সরকার। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও সরকারি বিবৃতি বলছে, স্বাস্থ্যজনিত কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ