সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার গুলিতে তরুণ টেনিস খেলোয়াড়ের মৃত্যুর ঘটনায় চর্চা গোটা দেশজুড়ে। অভিযুক্ত দীপক যাদবের কথায়, কটাক্ষ সহ্য করতে করতেই মেয়ে রাধিকাকে খুন করেছেন তিনি। তারপরেই চর্চায় উঠে এসেছে দীপকের সম্পত্তির পরিমাণ। জানা গিয়েছে, মাসে অন্তত ১৭ লক্ষ টাকা আয় তাঁর। রয়েছে বিলাসবহুল ফার্মহাউসও।
বৃহস্পতিবার রাধিকাকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালান দীপক। তিনটি গুলি রাধিকার বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় তাঁর। জেরার মুখেই খুনের কথা স্বীকার করেন দীপক। তিনি স্পষ্ট জানান, “গ্রামের সকলে আমাকে খোঁচা দিত। সবাই বলত, আমি মেয়ের পয়সায় বসে বসে খাই। এই খোঁচা শুনতে শুনতে বিরক্ত লাগত। আমার মেয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলত। আমি অনেকবার মেয়েকে বলেছিলাম অ্যাকাডেমিটা বন্ধ করে দিতে, শোনেনি। বারবার কটাক্ষ শুনতে শুনতে আমার সম্মানহানি হচ্ছিল।”
দীপক জানান, রাগের বশেই রান্নাঘরে গিয়ে মেয়েকে গুলি করে দেন তিনি। নিজের লাইসেন্সড রিভলভার থেকেই গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। জানা গিয়েছে .৩২ বোরের রিভলভার ব্যবহার করেন দীপক। গত কয়েকমাস ধরে মেয়ে রাধিকার জীবনযাপনে বিরক্ত হয়ে ওঠেন তিনি, বিশেষত আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টি ঘিরে। টেনিস অ্যাকাডেমি চালানোর পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম রিলস এবং মিউজিক ভিডিও থেকেও উপার্জন করতেন রাধিকা। সেটাই মেনে নিতে না পেরে মেয়েকে খুন করে দেন দীপক।
রাধিকার হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন দীপকের এক পরিচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, “দীপকের প্রচুর সম্পত্তি। সেগুলি ভাড়া দিয়েই মাসে ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। বিলাসবহুল ফার্মহাউসও রয়েছে। গ্রামের সকলেই জানে দীপক অত্যন্ত ধনী।” এত ধনসম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও কেন লোকে বলবে মেয়ের টাকায় খায়? এটাই সবচেয়ে বড় রাগ ছিল দীপকের, এমনটাই দাবি ওই পরিচিতের। তাঁর মতে, রাধিকাকে খুবই ভালোবাসতেন দীপক। দামি র্যাকেট কিনে দিতেও দু’বার ভাবেননি। কিন্তু খুনের নেপথ্যের কারণ নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁর মনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.