সংবাদ প্রতিদিন জিডিটাল ডেস্ক: বাঁচানো গেল না নভা নামে কুনো জাতীয় উদ্যানের স্ত্রী চিতাকে। ২০২২ সালে নামিবিয়া থেকে ৮ বছর বয়সি এই স্ত্রী চিতাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয় সে। তারপর থেকে চিকিৎসা চলছিল। তবে শেষ রক্ষা হল না, অবশেষে মৃত্যু হল তার। শনিবার একটি বিবৃতিতে কুনো ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড জিরেক্টর উত্তম শর্মা এই খবর জানিয়েছেন। এদিকে কুনোতে একের পর এক চিতার মৃত্যু নিয়ে প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তিনি জানান, একসপ্তাহ আগে আহত হয় নভা। সফ্ট রিলিজ এনক্লোজারে শিকার করতে গিয়ে আঘাত পায় সে। বাঁ পায়ের উলনা ও ফিবুলায় আঘাত ছিল। তার চিকিৎসাও চলছিল। তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, চিতার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে নভার মৃত্যুর পর কুনোয় চিতার সংখ্যা দাঁড়াল ২৬। এরমধ্যে ৯টি প্রাপ্তবয়স্ক যার মধ্যে ৬টি স্ত্রী ও ৩টি পুরুষ এবং ১৭টি চিতা শাবক রয়েছে। এই ১৭টি চিতা শাবকই কুনোতে জন্ম নেয়। কুনো ব্যাঘ্র প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সবকটি চিতা সুস্থ রয়েছেন। এদিকে কুনো থেকে যে দু’টি পুরুষ চিতাকে গান্ধীসাগর পাঠানো হয় তারাও সুস্থ রয়েছে।
২৬টি চিতার মধ্যে ১৬টিকে বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে মানিয়ে নিয়েছে। স্বাচ্ছন্দে শিকার করছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি কুনোর সব চিতার ‘অ্যান্টি ইক্টো প্যারাসাইটিক’ ওষুধ প্রয়োগ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি সন্তান প্রসব করা বীরা ও নির্ভা সন্তানদের সঙ্গে সুস্থ অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.