Advertisement
Advertisement
Boeing 787

বোয়িং ৭৮৭-র পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার দাবি পাইলট সংগঠনের, ডিজিসিএকে দেওয়া হল চিঠি

কী জানাল পাইলট সংগঠন?

FIP demands full testing of Boeing 787, writes to DGCA
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:October 6, 2025 6:22 pm
  • Updated:October 6, 2025 6:22 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝআকাশের আতঙ্ক ফিরল। অমৃতসর থেকে বার্মিংহ্যামগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই-১১৭অবতরণের ঠিক আগে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে যায় বিমানের ‘র‍্যাম এয়ার টারবাইন’ বা আরএটি, যা শুধুমাত্র তখনই নিজে থেকে বেরিয়ে আসে, যখন বিমানের দুই ইঞ্জিন একসঙ্গে বিকল হয়ে যায় বা বিদ্যুৎ ও হাইড্রলিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়।

Advertisement

এই ঘটনায় বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে কয়েক মাস আগের আমেদাবাদ-লন্ডন বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে আশ্চর্য মিল খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ১২ জুন ওয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমান আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। প্রাণ হারান ২৭৪ জন যাত্রী। সেই দুর্ঘটনাতেও বিমানটি ওড়ার ঠিক পরেই আরএটি সক্রিয় হয়েছিল। রবিবারের ঘটনার পর সরব হয়েছে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান পাইলটস (এফআইপি)। তারা অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে চিঠি দিয়ে দেশে চলাচলকারী সমস্ত বোয়িং ৭৮৭বিমানের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণের দাবি জানিয়েছে।

তাদের বক্তব্য, “এই ঘটনাটিও আমেদাবাদ বিপর্যয়ের দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই বিমান নিরাপত্তার স্বার্থে ডিজিসিএ-র উচিত বোয়িং ৭৮৭বিমানের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের গভীর তদন্ত করা।” এফআইপি জানিয়েছে, আমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর থেকেই তারা একাধিকবার সতর্ক করেছিল, কিন্তু তাতে ডিজিসিএ শুধুমাত্র ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচগুলি পরীক্ষা করেছে। সংস্থার দাবি, “বোয়িং ৭৮৭ বিমানে একাধিকবার প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই এখনই প্রতিটি বিমানের বৈদ্যুতিক ও হাইড্রলিক ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন জরুরি।” এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, “অমৃতসর-বার্মিংহ্যাম উড়ানে অবতরণের সময় ক্রুরা আরএটি সক্রিয় হতে দেখেন। তবে সমস্ত বৈদ্যুতিক ও হাইড্রলিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক ছিল এবং বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।” এই ঘটনার পর দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের উপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে। আমেদাবাদ দুর্ঘটনার পরও যদি একই মডেলের বিমানে এমন বিপজ্জনক ত্রুটি ধরা পড়ে, তবে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী উঠে আসে এবং ডিজিসিএ কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, তার আগেই যেন আর কোনও ভয়াবহ বিপর্যয় না ঘটে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ