Advertisement
Advertisement

চপার কেলেঙ্কারির মিডলম্যান মিশেলের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত

চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে কংগ্রেসকে ফের আক্রমণ বিজেপির ।

Five days CBI custody for Michel
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:December 5, 2018 8:32 pm
  • Updated:December 5, 2018 8:39 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন রাজ্যে নির্বাচনের আগে অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারির মিডলম্যান ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের সিবিআই হেফাজতে অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের। আজ, বুধবার মিশেলকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত। আগামী ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি। মিশেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডির কর্তারাও। সূত্রের খবর, ইডি এই বিষয় নিয়ে এগিয়ে আসলে আরও অনেক গোপন তথ্য সামনে আসবে। এদিন নির্বাচনী প্রচারে চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজস্থানে সুর চড়ালেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ।

Advertisement

জলে-জঙ্গলে-পাহাড়ে শত্রুর উপর চরম আঘাত হানতে তৈরি হচ্ছে বিশেষ বাহিনী

গতকাল রাতে ব্রিটিশ নাগরিক মিশেলকে দেশে এনেছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। আজ দুপুরে প্রথমে তাঁকে পাতিয়ালা হাউস আদালতে সিবিআই বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের কাছে পেশ করা হয়। কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয় আদালত চত্বরে। নিজের আইনজীবীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয় মিশেলকে। তারপরই পেশ করা হয় দিল্লি আদালতে। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৩৬০০ কোটি টাকার ভিভিআইপি চপার লেনদেন নিয়ে চুক্তি হয়। ২০১৬ সালে ইডির চার্জশিটে মিশেলের বিরুদ্ধে চপার কেলেঙ্কারি মামলা সংক্রান্ত ২২৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে। এবছর জুলাই মাসে ইডি চপার কেলেঙ্কারিতে ৩৪ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে। ফিনমেসানিকা ও অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ডের প্রাক্তন ডিরেক্টর জিউসেপে ওরসি ও ব্রুনো স্পাগনোলিনি, তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগীও ইডির তালিকায় আছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, এই চপার কেলেঙ্কারিতে মূলত দুটি চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে। একটি চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করত ক্রিশ্চিয়ান মিশেল। অন্যটি চালাত কার্লো জেরোসা ও গুইদো হাশে।

[মোদি জমানায় তরতরিয়ে বাড়ছে গোমাংস রপ্তানি, বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারত]

আজ রাজস্থানের পালিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “ইউপিএ আমলে চপার কেলেঙ্কারি বড় মাত্রা নেয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। দুবাই থেকে এক অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। এবার রাজদাররাই (কংগ্রেস) বাকি গোপন কথা সামনে আনবে। চার দশক ধরে যে দল দেশ শাসন করছে, তাদের এক চা-ওয়ালা আদালতে টেনে নিয়ে যাবে, সেটা কেউ ভাবতেও পারেনি। আমি ওদের আদালত পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছি। দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জামিনে আছে ওরা।”

[চাপের মুখে নতিস্বীকার! ব্যাংকের সব টাকা ফেরত দিতে চাইলেন মালিয়া]

এদিকে চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। রাজস্থানে আজ শেষদিনের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, “কোনও মিডলম্যানকে কি গ্রেপ্তার করা উচিত? বিরোধীরাই বলুন। ওদের কি বাঁচানো উচিত?” আজ নভজ্যোত সিং সিধুর পাকিস্তান যাওয়া ও সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করা নিয়ে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “সিধু পাকিস্তানে গিয়ে সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করেন রাহুল গান্ধীর নির্দেশে। তা স্বীকার করুক কংগ্রেস।” এদিন তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের শেষদিনের প্রচারে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তাঁকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “কংগ্রেস এই বিষয়ে আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। প্রধানমন্ত্রী আগে জবাব দিক, রাফালে চুক্তির জন্য আম্বানিকে কেন ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ