সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নন। সংসদীয় কমিটিতে ‘এক দেশ এক ভোটে’র প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন দেশের তিন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। সূত্রের খবর, যৌথ সংসদীয় কমিটিকে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহের।
এই মুহূর্তে এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিশিষ্টদের মতামত নিচ্ছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। ওই কমিটিই মতামত চেয়েছিল চন্দ্রচূড়ের। সূত্রের দাবি, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিরোধীদের তোলা যাবতীয় আশঙ্কা নসাৎ করেছেন। সূত্রের খবর কমিটিকে তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে বলা হচ্ছে এক দেশ এক ভোটে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধাক্কা খাবে, বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করা সহজ হবে সেটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। তাছাড়া একসঙ্গে নির্বাচন সংবিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটাও সত্যি নয়।
চন্দ্রচূড়ের সুরে সুর মিলিয়েই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জেএস খেহের এবং রঞ্জন গগৈ এক দেশ এক ভোটের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। এমনকী চন্দ্রচূড়ের মতোই প্রস্তাবিত বিলে নির্বাচন কমিশনকে যে বিপুল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেটারও বিরোধিতা করেছেন বিচারপতি গগৈ। তিনি বলেছেন, কোনও রাজ্যে ভোট স্থগিত রাখার ক্ষমতা কমিশনের হাতে থাকা উচিত নয়। এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকাটা বাঞ্চনীয়। তবে আর এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বক্তব্য, এই প্রস্তাব কার্যকর করতে হলেও সেটা ধীরে ধীরে করতে হবে।
উল্লেখ্য, ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলের খসড়া অনুযায়ী, কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে যদি বিধানসভা বা লোকসভা ভেঙে যায়, তা হলে শুধুমাত্র মেয়াদের বাকি সময়টুকুর জন্য লোকসভা বা বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। তার পর থেকে সমস্ত স্তরের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাতে বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে বলে যুক্তি সরকারপক্ষের। আবার বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা-লোকসভা-পুরসভা-পঞ্চায়েত ভোট একসঙ্গে হলে গণতন্ত্রের বৈচিত্র নষ্ট হবে। একেকটা নির্বাচন হয় একেকটা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। সেই সুযোগ হাতছাড়া হবে আমজনতার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.