Advertisement
Advertisement
Chief Justice

‘কমিশনকে অসীম ক্ষমতা নয়’, ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল নিয়ে প্রশ্ন চন্দ্রচূড়ের

এই বিলে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে বলেই মত দেশের দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির।

Former Chief Justices suggested system of checks and balances
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 11, 2025 8:24 pm
  • Updated:July 11, 2025 8:24 pm  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আগেই সংসদীয় কমিটিতে ‘এক দেশ এক ভোটে’র প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের তিন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এবার প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহের এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তুললেন বিল নিয়ে। তাঁদের দাবি, বিলে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেই সঙ্গেই তাঁদের প্রস্তাব, নির্বাচন কমিশনকে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া যাবে না।

Advertisement

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মতে, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোয় আঘাত না করলেও এই বিলে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। আরও সংশোধনী প্রয়োজন। নাহলে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে। কমিশনকে সংবিধানে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। পাঁচ বছর সরকার না থাকলে সুশাসন দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে ব্যয় কমানোর যে কথা বলা হচ্ছে তাও ফেলে দেওয়ার নয়। তবে আমাদের বাছতে হবে যে কোনটা বেশি দরকার, সুশাসন, নাকি ব্যয় হ্রাস। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে বলেও জানান প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহের।

উল্লেখ্য, ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলের খসড়া অনুযায়ী, কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে যদি বিধানসভা বা লোকসভা ভেঙে যায়, তা হলে শুধুমাত্র মেয়াদের বাকি সময়টুকুর জন্য লোকসভা বা বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। তার পর থেকে সমস্ত স্তরের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাতে বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে বলে যুক্তি সরকারপক্ষের। আবার বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা-লোকসভা-পুরসভা-পঞ্চায়েত ভোট একসঙ্গে হলে গণতন্ত্রের বৈচিত্র নষ্ট হবে। একেকটা নির্বাচন হয় একেকটা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। সেই সুযোগ হাতছাড়া হবে আমজনতার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement