Advertisement
Advertisement
DY Chandrachud

পদত্যাগের ৮ মাস পর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়লেন চন্দ্রচূড়! নতুন ঠিকানা কোথায়?

গত ১ জুলাই কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Former CJI DY Chandrachud vacates official residence
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:August 2, 2025 8:24 pm
  • Updated:August 2, 2025 8:29 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে পদত্যাগের আট মাস পর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়লেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তিনি সেই বাড়ির চাবি জমা দিয়েছেন বলে খবর। তাঁর নতুন ঠিকানা ১৪ তুঘলক রোড। সরকারের তরফে এই বাংলোটিতেই তাঁর ভাড়ায় থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মেরামতির কাজ চলায় তিনি সেখানে যেতে পারছিলেন না বলে জানিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়।

Advertisement

গত ১ জুলাই কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়েছিল, মেয়াদ শেষের পরেও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় কৃষ্ণ মেনন মার্গের ৫ নম্বর বাংলোটিতে (প্রধান বিচারপতির বাসভবন) বসবাস করছেন। কিন্তু নিময় অনুযায়ী, তিনি আর সেখানে বসবাস করতে পারেন না। শীর্ষ আদালতের তরফেও সেখানে তাঁকে আর বসবাসের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই দেরি না করে অবিলম্বে তিনি যেন সেই আবাসন খালি করে দেন।

বস্তুত, কৃষ্ণ মেনন মার্গের ‘টাইপ ৮’ বাংলোটি দেশের প্রধান বিচারপতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। তবে অবসরের পর তাঁরা ‘টাইপ ৬’ বাংলোতে থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের উত্তরসূরি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ‘টাইপ ৮’ বাংলোতে থাকতে রাজি হননি। তাই তখন থেকে সেই বাংলোতেই বসবাস করছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

সুপ্রিম কোর্টের পাঠানোও ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বিচারপতি চন্দ্রচূড় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাক চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কিছু কারণের জন্য যাতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে ওই বাংলোতে বসবাস করতে দেওয়া হোক। তার এই আবেদনে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি গাভাইকে তাঁর সেখানে বসবাসের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে মৌখিক আবেদন জানিয়েছলেন। কিন্তু সেই সময়সীমাও অতিক্রম হয়েছে। তাই অবিলম্বে বিচারপতি চন্দ্রচূড় যেন বাংলোটি খালি করে দেন।

এ প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “ব্যক্তিগত কিছু কারণের জন্য বাংলোটি ছাড়তে দেরি হচ্ছে। গোটা বিষয়টি শীর্ষ আদালতকেও আমি জানিয়েছি। আমার দুই মেয়ে অসুস্থ। তাঁরা দিল্লি এইমসে চিকিৎসাধীন। তাই উপযুক্ত একটি বাড়ির প্রয়োজন। আমি বাড়িও খুঁজছি।” তাঁর কথায়, “সরকারের তরফে আমার জন্য যে বাড়িটির বন্দোবস্ত করা হয়েছে, সেটি বসবাসের অযোগ্য। মেরামতির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই আমি সেখানে চলে যাব।” অবশেষে পদত্যাগের আট মাস পর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়লেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ