ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। ধসের জেরে চাপা পড়ে পুণ্যার্থীদের মৃত্যু হয়েছে বৈষ্ণোদেবীর পথে। এবার ফের ধস হিমাচল প্রদেশে। বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইরাবতী নদীর জলে ভেসে গিয়েছে চাম্বা জেলার আস্ত একটা গ্রাম।
বাসন্ধন গ্রামে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাথর গড়িয়ে পড়া দেখতে বাড়ি থেকে বেরোয় এক ভাই-বোন। সেই সময় পাহাড়ের ঢাল ভেঙে যাওয়ায় জীবন্ত চাপা পড়ে দু’জনই। মেহলায় অন্য একটি ধসে দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা কবলিত জেলা থেকে আরও দুই বাসিন্দার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগে মণি মহেশ যাত্রার সময় দোনালির কাছে পাথরের আঘাতে ছয় তীর্থযাত্রী আহত হন। তাদের প্রথমে ভারমৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে বিমানে চাম্বা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
একটানা বৃষ্টিতে বেড়েছে নদীর জল। ইরাবতী নদীর জলে সম্পূর্ণ ডুবে রয়েছে ভারমৌর বিধানসভা অঞ্চলের সালোন গ্রাম। স্থানীয় বিধায়ক ডঃ জনক রাজ গ্রামটির নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন গত তিন দশকে তারা ইরাবতী নদীকে কখনও এত ভয়ঙ্কর রূপে দেখেননি।
গত ২০ জুন থেকে, হিমাচলজুড়ে বৃষ্টিপাতের ঘটনায় অন্তত ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ ৩৮ জন। হিমাচল প্রদেশে এখনও পর্যন্ত ৯০টি আকস্মিক বন্যা, ৪২টি মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ৮৫টি বড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে ২,৬০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু চাম্বা জেলাতেই ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গোটা রাজ্যের ১০ জেলায় প্রায় ৫৮৪ রাস্তা এখনও বন্ধ। চাম্বা এবং মানালির কিছু অংশে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
গত মঙ্গলবার দুপুরে বৈষ্ণদেবীর পথে, অর্ধকুয়ারিতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। আচমকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাথর, বোল্ডার নেমে আসায় পুণ্যার্থীদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ধসের নিচে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েক জন পুণ্যার্থী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.