সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের দীর্ঘদিনের চাপে মিলল সুরাহা। অবশেষে পুরোপুরি করমুক্ত হওয়ার পথে জীবন ও স্বাস্থ্যবিমা। বিমাকে করমুক্ত করার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে বিমা সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠী। বুধবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিমা সংক্রান্ত মন্ত্রীগোষ্ঠীর কনভেনর সম্রাট চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন।
বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে বহুদিন থেকেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি জানিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। বিষয়টি নিয়ে সংসদের অধিবেশনেও সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। অতীতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দেশের বাকি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার জিএসটি কম করার পক্ষেই। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি বিমাক্ষেত্রকে সংকুচিত করছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করছিল কেন্দ্র।
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, আগামী দিনে করকাঠামোর আরও সরলীকরণ হবে। দেশকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে করের বোঝা কমিয়ে নেক্সট জেনারেশন জিএসটি চালু করা হবে। তারপরই স্বাস্থ্যবিমা থেকে জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করার পথে কেন্দ্র। মন্ত্রিগোষ্ঠীর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ১৮ থেকে একেবারে ০ শতাংশ করে নেমে আসবে জীবন ও স্বাস্থ্যবিমা। জিএসটি কাউন্সিলের পরের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে এর সুবিধা সরাসরি সাধারণ নাগরিকরা পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যেই। কারও কারও ধারণা, এতেও বিমার প্রিমিয়াম কমবে না। বুধবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে একাধিক সদস্য দাবি করছেন, শুধু স্বাস্থ্যবিমাকে করমুক্ত করলেই হবে না, তার সুবিধা যাতে সাধারণ নাগরিক পান, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের জয় হিসাবেই দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই মমতা দাবি করে আসছেন এই ‘জনবিরোধী’ কর প্রত্যাহার করতে হবে। তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য ছিল, জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া উচিত। এগুলি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলির সঙ্গে জড়িত। জিএসটি বিষয়টি খারাপ কারণ, এটা মানুষের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। মমতার চাপে সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হল কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.