সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক-সহ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার ফুঁসে উঠলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ করলেন, বিজেপি ও আরএসএস লাদাখের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধ্বংস করছে।
লাদাখ ইস্যুতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি লেখেন, ‘লাদাখের মানুষ অসাধারণ। তাঁদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বিজেপি ও আরএসএসের আক্রমণে ঝুঁকির মুখে। লাদাখের মানুষ প্রতিবাদ করেছিলেন নিজেদের অধিকারের জন্য। বিজেপি তার জবাবে চার জনকে হত্যা করেছে, সোনম ওয়াংচুককে জেলে ভরেছে। হত্যা বন্ধ হোক, হিংসা বন্ধ হোক, ভয় দেখানো বন্ধ হোক। এবং ওখানকার মানুষের দাবি শোনা হোক। লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’
Ladakh’s amazing people, culture, and traditions are under attack by the BJP and RSS.
Ladakhis asked for a voice. The BJP responded by killing 4 young men and jailing Sonam Wangchuk.
Stop the killing.
Stop the violence.
Stop the intimidation.Give Ladakh a voice. Give them…
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi)
লাদাখে ‘গণবিক্ষোভে’র ২ দিন পর গত শুক্রবার আন্দোলনের প্রধান মুখ পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উসকানি এবং হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল সোনমের। সেই সাংবাদিক সম্মেলনের ঠিক পাঁচ মিনিট আগে তিনি গ্রেপ্তার হন। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারির পরই সোনমকে লাদাখ থেকে সরিয়ে রাতারাতি নিয়ে যাওয়া হয় লেহ থেকে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের যোধপুরে।
সোনমের গ্রেপ্তারির পর লেহ-তে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে শহরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কড়া পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়েছে গোটা শহরকে। জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আইনে সরকার স্রেফ সন্দেহের বশে সন্দেহভাজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখতে পারে। মেলে না জামিনও। সোনমের সঙ্গেও তেমনটা হতে পারে বলে তাঁর অনুগামীদের আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘বহু নেতা সোনমকে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও তিনি তা শোনেননি। আরব বসন্তের কায়দায় বিক্ষোভে উসকানি দিয়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নেপালের জেন জি আন্দোলনের উল্লেখ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছিল, ‘সোনমের উসকানিমূলক বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একদল জনতা অনশনস্থল ত্যাগ করে হিংসাত্মক আন্দোলনে যোগ দেন। একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের পাশাপাশি লেহ-এর সরকারি দপ্তরেও হামলা চালানো হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, সোনমের উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণেই জনতা প্রভাবিত হয়েছেন।’ উল্লেখ্য, সোনমের শিক্ষামূলক সংস্থার বিদেশি তহবিল গ্রহণের অনুমোদন ইতিমমধ্যেই বাতিল করেছে কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.